বিধায়ক অরুন্ধতী মৈত্রের সঙ্গে চুলোচুলির মূল্য চোকাতে হল সোনারপুরের তৃণমূল নেত্রী কুহেলি ঘোষকে। তাঁকে সরিয়ে শিবনাথ ঘোষকেই রাজপুর – সোনারপুর টাউন তৃণমূলের সভাপতির পদে ফেরাল দল। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরই উৎসবে মাতেন শিবুবাবুর অনুগামীরা। এই নিয়ে কুহেলিদেবীর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
দিন কয়েক আগে সোনারপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ চরমে ওঠে। দলের শহর কার্যালয়ে অনুগামীদের নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন কুহেলিদেবী। আগে থেকেই অনুগামীদের নিয়ে সেখানে হাজির ছিলেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক অরুন্ধতী মৈত্র। দুপক্ষের মধ্যে কার্যালয়ের দখল নিয়ে রীতিমতো হাতাহাতি বেঁধে যায়।
কুলেহিদেবী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দলের সাংগঠনিক রদবদলে আমার নাম শহর তৃণমূল সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমাকে শহর কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’ পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতারাতি রাজপুর সোনারপুর শহর তৃণমূল কার্যালয়ের নাম বদলে ‘বিধায়ক কার্যালয়’ করে দেওয়া হয়।
শুক্রবার তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবার – যাদবপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী চিঠি দিয়ে শিবনাথবাবুকেই ফের শহর সভাপতি ঘোষণা করেন। সুব্রত বক্সির নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।
সঙ্গে সঙ্গে শহর কার্যালয়ের দখল নেন অনুগামীরা। তৃণমূল সূত্রের খবর, শিবু ঘোষকে সরানোয় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল তা তৃণমূল নেতৃত্বের কানে পৌঁছতেই সিদ্ধন্ত বদল করে তারা। শিবুবাবুকে পদ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হওয়ায় যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত। শিবু ঘোষ ফের শহর সভাপতি হওয়ায় খুশিতে গদগদ ছিলেন বিধায়ক অরুন্ধতী মৈত্র।