এগরা বিস্ফোরণের আঁচে তপ্ত ভগবানপুর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে গতকাল তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিছিল বের করেছিল বিরোধী দল বিজপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, সেই মিছিলে শাসক শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা বোমাবাজি চালায়। এমনকী মিছিল লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির। আর এবার ভগবানপুর নিয়ে পালটা অভিযোগ করল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল রাতে তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তৃণমূল কর্মীর ওপর গুলি চালিয়েছেন। বিজেপি কর্মীরাও নাকি তৃণমূল সমর্থকদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করেছে। (মাধ্যমিকের ফলাফল দেখতে এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
এর আগে গতকাল বিজেপি অভিযোগ করে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় মিছিলে থাকা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি সহ দলের ৭ কর্মী-সমর্থক জখম হন। সেই দাবি ওঠার পরে রাতে একটি টুইট করে তৃণমূল লেখে, 'ভগবানপুরে বিজেপির মিছিলে গুন্ডামি এবং বর্বরতা প্রদর্শনে আমরা হতবাক। মিছিল থেকে আমাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়েছিল। এছাড়াও, আমাদের এক কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই আবহে সেই তৃণমূলকর্মী গুলিবিদ্ধ হন।' এরপর টুইটের শেষ লাইনে লেখা হয়, 'ক্ষমতার এই নির্লজ্জ অপব্যবহার আমাদের গণতন্ত্রের উপর কালো দাগ!' এদিকে পোস্ট করা ছবিদে দেখা গিয়েছে, একজন একটি গাড়িতে বসে রয়েছেন খালি গায়ে। তাঁর বাঁহাতে গামছা দিয়ে চাপা দেওয়া। সেই হাত রক্তাক্ত।
প্রসঙ্গত, এগরার বিস্ফোরণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভগবানপুরের পাউশি বাজার থেকে বিজেপির তরফে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়েছিল। বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন। গেরুয়া শিবির অভিযোগ করে যে তাদের সেই মিছিলে হামলা চালানো হয়। পুলিশ সেখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি-বোমা বর্ষণ করা হয়। যদিও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি তরুণকুমার মাইতি বিজেপির সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তবে বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ বলেন, 'পুলিশের সামনেই তৃণমূলের লোকেরা বিজেপির মিছিলে হামলা চালায়। আমাদের মিছিল লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়, গুলি চালানো হয়। তবে পুলিশ নীরবে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে।' তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন, ভগবানপুরকে তৃণমূল মুক্ত করবে বিজেপি। পরে রাতে তৃণমূলের তরফে পালটা অভিযোগ করে টুইট করা হয়।