শ্রেয়সী পাল
তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলে ঢুকে পড়েছিলেন এক বিএসএফ জওয়ান। সেজন্য তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল ঘাসফুল শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের কান্দির।
বিশ্বজিৎ সাহানি নামে ওই জওয়ান জম্মু ও কাশ্মীরে বিএসএফের ১৬৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন। চিকিৎসার জন্য লকডাউনের আগে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় তৃণমূলের একটি মিছিল যাচ্ছিল। মিছিল টপকে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তা নিয়ে ওই জওয়ানের সঙ্গে তৃণমূলকর্মীরদের বচসা শুরু হয়। তা হাতাহাতিতে গড়ায়। তাঁকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, তাঁর বাইকও ভাঙচুর করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
বিশ্বজিতের দাদা বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে বাড়ি এসেছিল আমার ভাই। কিছু কাজে শুক্রবার বিকেলে ও কান্দিতে গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূলের লোকজন ওকে মারধর করেন।’ ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। মুর্শিদাবাদের (উত্তর) বিজেপি সভাপতি গৌরীশংকর ঘোষ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের কোথাও আইন-কানুন নেই। একজন জওয়ানকে মারধরের ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে যে তৃণমূলের লোকজন দেশবিরোধী। জওয়ানদের জন্য তাঁদের কোনও সম্মান নেই। যাঁরা আমাদের দেশের রক্ষা করছেন।’
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার না করলেও তৃণমূলের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে মিছিলে ঢুকে পড়েন বিশ্বজিৎ। মুর্শিদাবাদের তৃণমূল মুখপাত্র অপূর্ব সরকার বলেন, ‘(ওই) বিএসএফ জওয়ান উন্মাদ। উনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের মিছিলে ঢুকে পড়েন এনং ঝামেলা শুরু করেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। জওয়ানের পরিবার আমাদের সমর্থক। আমরা তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছি।’ অপূর্বের নেতৃত্বেই সেই মিছিল হচ্ছিল।
বিশ্বজিৎকে ‘উন্মাদ’ বলার জন্য তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন জওয়ানের পরিবার। তাঁর দাদা বলেন, ‘আমি এবং আমার ভাই দু'জনই বিএসএফের জওয়ান হিসেবে দেশের সেরা করছি। কিন্তু মারধরের পর কান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও পুলিশের কেউ বয়ান রেকর্ড করতে আসেনি।’
তবে কান্দি থানার আইসি সুবীর ঘোষ বলেন, ‘আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।’