অনেক পরিকল্পনা করে প্রকল্পটি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন তাতে পর্যটক হচ্ছে না। এনজেপি–আলিপুরদুয়ার ভিস্তাডোম কোচে এই ছবিই দেখা যাচ্ছে। ডুয়ার্সের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাতানুকূল কোচে এনজেপি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন যাওয়ার পথে পাহাড়, জঙ্গল, চা–বাগানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। কিন্তু যাত্রী হচ্ছে না।
ঠিক কী ঘটেছে ভিস্তাডোমে? এই বিষয়ে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘এনজেপি থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত যাওয়ার পথে এখন ২৬ শতাংশ আসনে যাত্রী হচ্ছে। ভিস্তাডোম কোচের এই ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা খুবই হতাশাজনক।’ ট্রেনটিতে একটি ভিস্তাডোম কোচ আছে। সেখানে ৩৬টি আসন রয়েছে। ভাড়া ৯০০ টাকা। তবে দু’টি এসি চেয়ার এবং দু’টি নন এসি চেয়ারকার কোচ রয়েছে। তারপরও যাত্রী মিলছে না।
ঠিক কী বক্তব্য ব্যবসায়ীদের? পর্যটন ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, প্রথমদিন থেকেই রেলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল, এনজেপি থেকে ট্রেনটি যাতে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে ছাড়া হয়। তার আগে ছাড়লে পর্যটকদের পাওয়া যাবে না। ডুয়ার্সে ঘুরতে আসা পর্যটকরা পদাতিক এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেলে আসেন। আর তাঁরা আসার আগেই ভিস্তাডোম স্টেশন ছেড়ে চলে যায়। এই পর্যটকদের ভিস্তাডোম কোচের ট্রেন ধরার সুযোগ দেওয়া হলে লাভের মুখ দেখা যাবে। একইসঙ্গে ভিস্তাডোম কোচই তাঁদের প্রথম পছন্দ হবে।
উল্লেখ্য, জঙ্গল, চা–বাগিচার বুক চিড়ে ডুয়ার্স রুটে ভিস্তাডোম কোচে ১৬৯ কিমি রেলপথ ভ্রমণে পর্যটকরা রোমাঞ্চিত হবেন। কিন্তু পর্যটকরা যখন এনজেপিতে নামছেন, তখন এই ট্রেনটি আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, ‘কেন ডিস্তাডোম কোচে যাত্রী হচ্ছে না, তার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’