দলীয় পদ হারিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন উত্তরবঙ্গে আদিবাসী আন্দোলনের অন্যতম মুখ রাজেশ লাকড়া। সোমবার দুপুরেই তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলা INTTUC-র সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সন্ধ্যায় দলত্যাগের কথা ঘোষণা করেন রাজেশবাবু। ভারতীয় মূল আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ব্যানারে তিনি তাঁর লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
২০২০ সালে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন রাজেশবাবু। ২০২১ সালে তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট দেয় তৃণমূল। কিন্তু জিততে পারেননি তিনি। ২০২২ সালে তাঁকে জেলা INTTUCর সভাপতি পদে বসায় নেতৃত্ব। সম্প্রতি তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে তপন দে-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজেশবাবুকে রাজ্য সম্পাদকের পদ দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু তাতে খুশি নন রাজেশবাবু।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজেশ লাকড়া বলেন, ‘তৃণমূলের যখন আর আদিবাসীদের দরকার নেই তখন আমারও আর তৃণমূলকে দরকার নেই। আমি আদিবাসী বিকাশ পরিষদের মঞ্চ থেকে আন্দোলন করব।’ তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তৃণমূলে যোগদান করেছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের অন্দরে আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে কেউ কোনও কথা বলে না। তাই দল ছাড়লাম। আগামীতে যে দল আদিবাসীদের কথা বলবে তাদের সঙ্গে থাকব। ডুয়ার্সের আদিবাসীদের সংবিধানের পঞ্চম তফশিলের সুবিধা দিতে হবে। এই দাবিতে রাজ্যপালের কাছে চিঠি দেব।’ রাজেশবাবু প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আদিবাসীরা ডুয়ার্সের ভূমিপুত্র। তাদের কী করে পাট্টা দেন মুখ্যমন্ত্রী?’
রাজেশ লাকড়ার দলত্যাগ নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, ‘রাজেশকে দল বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেছিল এটা ওর মনে রাখা উচিত। রাজেশের দলত্যাগে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। তবে এই বক্তব্য ওর ফিরিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করি।’