Birbhum: কেষ্টর মঙ্গল কামনায় আয়োজিত যজ্ঞে অংশগ্রহণ করায় নানুরে তৃণমূলকে পেটাল তৃণমূলই

বীরভূনের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান বলেন, ‘কাড্ডা অঞ্চলের বাইতারা গ্রাম থেকে বেশ কিছু লোক কেষ্টদার মঙ্গল কামনায় যজ্ঞে গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পরে কয়েকজন তৃণমূলকর্মী তাদের হুমকি দেয়।

অনুব্রতর মঙ্গলকামনায় আয়োজিত যজ্ঞের ব্যানার। 

লোকসভা ভোটের আগে বীরভূমে ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ। এবার অনুব্রত মণ্ডলের ‘মঙ্গলকামনায়’ যজ্ঞে অংশগ্রহণ করায় তৃণমূল কর্মীদের ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলেরই বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নানুর ব্লকের বাইতারা গ্রামে। ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

শনিবার বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের ‘মঙ্গলকামনায়’ বিশাল যজ্ঞের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেই যজ্ঞে অংশগ্রহণ করেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্তের তৃণমূলকর্মীরা। নানুর ব্লকের বাইতারা গ্রামের কয়েকজন তৃণমূলকর্মীও যজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখান থেকে ফিরলে তৃণমূলেরই একাংশ তাদের হাত – পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী ওই তৃণমূলকর্মীদের ঘর ভাঙচুর করে তৃণমূল আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীরা।

বীরভূনের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান বলেন, ‘কাড্ডা অঞ্চলের বাইতারা গ্রাম থেকে বেশ কিছু লোক কেষ্টদার মঙ্গল কামনায় যজ্ঞে গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পরে কয়েকজন তৃণমূলকর্মী তাদের হুমকি দেয়। বলে গ্রামে ফিরলে হাত – পা ভেঙে দেওয়া হবে। এমনকী ওই তৃণমূলকর্মীদের বাড়িও ভাঙচুর করে তারা।’ তবে তাঁর দাবি, এই ঘটনায় বিজেপি জড়িত।

নানুরে তৃণমূল কর্মীদের ওপরে তৃণমূলেরই হামলায় লোকসভা ভোটের আগে সিঁদুরে মেঘ দেখছে দলীয় নেতৃত্বের একাংশ। গত মাসে কালীঘাটে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের কায়দাতেই বীরভূমে দল চলবে। সঙ্গে অনুব্রতর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত কাজল শেখকে দলের কোর কমিটি থেকে বাদ দেন তিনি। এর পরই কাজলের খাসতালুক নানুরে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল মাথাচাড়া দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যার ফলে কেষ্টর মঙ্গল কামনায় আয়োজিত যজ্ঞে অংশগ্রহণ করে আক্রান্ত হতে হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের।