গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর চার উইকেটে জয়ে মহম্মদ সিরাজের বড় ভূমিকা রয়েছে। তিনিই শনিবার গুজরাটের ইনিংসের চার ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমন গিলকে আউট করে দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও তাঁর দুরন্ত পারফরম্যান্স সকলের মন জয়ে করেন। বহু দিন পর চেনা ছন্দে পাওয়া যায় সিরাজকে। তিনি ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন।
খেলতে পারবেন না ভেবেছিলেন সিরাজ
ম্যাচ শেষে সিরাজ বলেন, ‘আমি গত কয়েক দিন ধরে সত্যিই অসুস্থ ছিলাম। ভেবেছিলাম, এই ম্যাচে হয়তো খেলতে পারব না। কিন্তু আমি সত্যিই খেলতে চেয়েছিলাম, তাই এটা করতে পেরেছি। এবং আমি খেলতে পেরে খুব খুশি।’
আরও পড়ুন: স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনার মাঝেই, নিন্দুকদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, আরও ২টি পালক কোহলির মুকুটে
‘সকালে যখন আমি ঘুম থেকে উঠি, তখন আমি অনুভব করি যে আমি বিশ্রাম নেওয়া উচিত, আমি আজ খেলতে পারব না। কিন্তু তারপর ভাবলাম না, আমাকে খেলতে হবে।’ এবং সেই সময়ে তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন, কীভাবে বল করবেন। ম্যাচে আমি কীভাবে ঋদ্ধিমান সাহাকে আউট করবেন। উইকেটের পিছনে যেটা ক্যাচ হবে।
উচ্ছ্বসিত আরসিবি অধিনায়ক
আরসিবি অধিনায়ক ফ্যাফ ডু'প্লেসি দল জয়ের হ্যাটট্রিক করার স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত। ডু'প্লেসি বলেওছেন, ‘গত কয়েকটি ম্যাচ সত্যিই ভালো খেলেছে দল। যেভাবে আমরা ব্যাট এবং বল করেছি, তাতে খুশি। উইকেটটা একটু অন্য রকম ছিল, একটু বেশি বাউন্স ছিল। আমরা সেই তথ্য নিয়ে বোলারদের কাছে দিই। তবে একটি ক্যাচ ড্রপ হয়েছে, কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টাই করেছি। আমরা এখানে যে সমস্ত ম্যাচ খেলেছি, সেগুলি সাধারণত উচ্চ স্কোরিং ছিল। তবে এই উইকেটে ১৮০-১৯০-এর কাছাকাছি স্কোর চ্যালেঞ্জিং হত।’
আরও পড়ুন: IPl-এর ইতিহাসে সবচেয়ে ওভাররেটেড প্লেয়ার ম্যাক্সওয়েল- পার্থিবের মন্তব্যে বিতর্ক
ডু'প্লেসি ১০টি চার এবং তিনটি ছক্কার হাত ধরে মাত্র ২৪ বলে ৬৩ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন। যা বেঙ্গালুরুকে ম্যাচ জেতাতে বড় ভূমিকা নেয়। এবং বেঙ্গালুরু জিতে এক লাফে পয়েন্ট টেবলের দশ থেকে সাতে উঠে আসে।
নিজের ইনিংস নিয়ে ফ্যাফ বলেন, ‘সম্ভবত এটা সেরা ইনিংস নয়। তবে ইতিবাচক হওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের নেট রানরেট বাড়াতে হত। সেটাই করতে চেয়েছিলাম। তবে যখন আমরা চার উইকেট হারিয়ে ফেলি, তখন আমাদের খেলা কিছুটা স্লো হয়ে যায়।’
আরসিবি-টাইটান্স ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফল
শনিবার আরসিবি-র বিরুদ্ধে টস হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে গুজরাট টাইটান্সের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটে। তারা পুরো ওভার ব্যাটও করতে পারেননি। ১৯.৩ ওভারে ১৪৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন শাহরুখ খান। ৩৫ রান করেন রাহুল তেওয়াটিয়া। ৩০ করেন ডেভিড মিলার। বাকিদের বেহাল দশা।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিল আরসিবি। তাদের দুই ওপেনার মিলেই প্রথম উইকেটে ৫.৫ ওভারে ৯২ রান করে ফেলে। এতেই জয়ের ভিত মজবুত হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর। ২৩ বলে ঝোড়ো মেজাজে ৬৪ করেন ফ্যাফ ডু'প্লেসি। সেখান থেকে ৫৬ রান করতে গিয়ে অবশ্য ছয় উইকেট হারিয়ে বসে আরসিবি। মিডল অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ। বিরাট কোহলি ২৭ বলে ৪২ করেন। শেষ পর্যন্ত সপ্তম উইকেটে দীনেশ কার্তিক এবং স্বপনীল সিং মিলে আরসিবি-কে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। অপরাজিত ২১ করেন কার্তিক। ১৫ করে অপরাজিত থাকেন স্বপনীল।