আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে রবিবার ম্যাচ ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের। আরও একবার শুরুটা ভালো করতে পারল না সিএসকে। ওপেনার রাহানে ফিরলেন ৯ রানে। এরপর ফের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন সেই রুতুরাজ গায়েকওয়াড়। কিন্তু রোজ রোজ কি আর বড় রান আসে, এদিন তিনি করলেন ৩২ রান। ডারিল মিচেল করেন ৩০ রান। শেষদিকে রবীন্দ্র জাদেজা মারকাটারি ৪৩ রানের ইনিংস খেললেন, নাহলে সিএসকে লড়াইয়ের মতো জায়গায় যেতে পারত না। তবে মহেন্দ্র সিং ধোনি আউট হলেন মাত্র শুন্য রানে, তাও প্রথম বল খেলতে এসেই। ৯ উইকেটে ১৬৭ রান রান তুলল সিএসকে। নিঃসন্দেহে পঞ্জাবের মতো ধারাবাহিকতার ধারে কাছে না থাকা দলকে এই রানও যথেষ্ট বেগ দিতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা, কারণ অবশ্যই উইকেটের পিছন থেকে দলকে গাইড করবেন ধোনি। কিন্তু ব্যাটে তাঁর রান না আসায় মন খারাপ মাঠে উপস্থিত মাহি ভক্তদের। হার্ষাল প্যাটেলের প্রথম বলেই ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলেন সিএসকের চাণক্য।
আরও পড়ুন-হঠাৎই Undertaker-এর ভূমিকায় কেকেআর ক্রিকেটার, মারলেন চোকস্লাম, দেখুন ভিডিয়ো
ম্যাচে ১৯তম ওভারে শার্দুল ঠাকুর আউট হতেই মাঠে নেমেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে ম্যাচের এত শেষ দিকে তাঁর নামা যে আদতে দলের জন্য খুব একটা ভালো হচ্ছে না সেকথা পরিষ্কার। কারণ প্রথম বল থেকেই হিট করতে হল তাঁকে। সেই মতো চেষ্টাও করলেন, কিন্তু হার্ষাল প্যাটেল বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে দিলেন স্লোয়ার বল। আর তাতেই টাইমিং মিস করলেন, গোল্ডেন ডাকের খাতায় নাম উঠল মাহির। সচরাচর আইপিএলে যা বিরল।
আরও পড়ুন-IPL 2024- আইপিএল থেকেই ছিটকে গেলেন এলএসজির তারকা পেসার, জানালেন কোচ ল্যাঙ্গার
এতবছরের আইপিএলে মাত্র ৪বার প্রথম বলেই আউট হয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০১০ সালে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে শুন্য রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন। ২০১৫ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক করেছিলেন। এরপর গতবছর গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষেও গোল্ডেন ডাক করেন এমএসডি। যদিও মাহিভক্তরা এর মধ্যে থেকেও বের করছেন ইতিবাচক দিক। কারণ এর আগে যে তিনবার ধোনি গোল্ডেন ডাক করেছেন, সেই সিজনে ফাইনালে গেছে তাঁর দল। দুবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। তাই মাহিভক্তদের আশা, হতেই পারে মাহির এই গোল্ডেন ডাক আসলে অন্য কোনও বার্তা নিয়ে এল।
মহেন্দ্র সিং ধোনির উইকেট নেওয়ার পর অবশ্য তেমন কোনও উচ্ছাস দেখাননি হার্ষাল প্যাটেল। ইনিংসের শেষে পঞ্জাব কিংসের এই বোলার বলেন, মহেন্দ্র সিং ধোনিকে তিনি অত্যন্ত সম্মান করেন, তাই উইকেট নিয়ে কোনওরকম বাড়তি উচ্ছাস দেখাননি।