রাজ্যে জাল জাতি প্রমাণপত্র দেখিয়ে মেডিক্যালে ভর্তির মামলা যেদিন হাতে নিল সুপ্রিম কোর্ট সেদিনই জাল প্রতিবন্ধী প্রমাণপত্র বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক তৃণমূল নেতা ও কংগ্রেস নেতাকে ধরল পুলিশ। ঘটনা মালদার হরিশ্চচন্দ্রপুরের। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
অভিযোগ, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ডুমুরকলা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জাল সরকারি সংশাপত্র বানানোর কাজ করছিলেন তৃণমূল কর্মী মাসুম শেখ। রাশেদুল হক নামে এক কংগ্রেস নেতাকে রাজ্য সরকারের পাড়ায় সমাধান প্রকল্প চলাকালীন জাল প্রতিবন্ধী প্রমাণপত্র তৈরি করে দেন তিনি। বিষয়টি নজরে আসে বিডিও সৌমেন মণ্ডলের। চক্রটিকে হাতে নাতে ধরেন তিনি। এর পর স্থানীয় এক হোমগার্ড, মাসুম শেখ ও রাশেদুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সৌমেনবাবু। অভিযোগ পেয়ে মাসুম ও রাশেদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, টাকার বিনিময়ে জাল শংসাপত্র বানিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মাসুম। সেই শংসাপত্র দেখিয়ে অনেকে সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন বলে জেরায় জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, মাসুম শেখ এলাকায় সক্রিয় তৃণমূলকর্মী। রাশেদুল হক কংগ্রেসের বুথ সভাপতি।
এই ঘটনায় তৃণমূলকে ব্যাপক আক্রমণ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা রূপেশ আগরওয়াল বলেন, ‘তৃণমূল মানেই দুর্নীতি। যেখানে হাত দেবেন সেখান থেকে দুর্নীতি বেরোবে। তৃণমূল দুর্নীতিতে পিএইচডি করেছে।’
ঘটনার সঙ্গে দলের যোগাযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে দলের যোগাযোগ নেই। প্রশাসনকে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে বলব।’