সিবিআইয়ের আধিকারিক সেজে ব্যাবসায়ীকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার সাংবাদিক অভিষেক সেনগুপ্ত ও তার ঘনিষ্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই সাংবাদিক ও তার ঘনিষ্ট স্বরূপ ঘোষকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। এদিন ধৃতদের স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। ২৯ তারিখ পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ডে তাদের কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। ঘটনায় প্রথমে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আজ সকালে কসবা থানার পুলিশ দক্ষিণ শহরতলী থেকে ৩ জন ও উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে। আবার বিকেলের দিকে সাংবাদিক ও আরও ১ জনকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে এ ঘটনায় মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হল। এদিন বিকেলে পাঁচ ধৃতদের আদালতে তোলা হলে, পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পাঁচ জন ধৃতরা হল, অনির্বাণ কাঞ্জিলাল, অর্ঘ্য সেনগুপ্ত, রাজু মণ্ডল, জুলফিকার আলি ও আশরাফ আলি। প্রথম তিনজন কলকাতার দক্ষিণ শহরতলীর রাজপুর ও নেতাজিনগর এলাকার বাসিন্দা। বাকি দু’জন সন্দেহভাজন জুলফিকার ও আশরাফ উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের বাসিন্দা।
এর আগে এই ঘটনায় সঙ্গে যুক্ত স্বরূপ রায়, প্রতীক সরকারক ও অপহরণে ব্যবহৃত গাড়ির চালক রাজেশ অধিকারীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বিকেলে গ্রেফতার করা হল টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক অভিষেক সেনগুপ্ত ও তার ঘনিষ্ট স্বরূপ ঘোষকে।
সূত্রের খবর, গ্রেপ্তারি এড়াতে অভিষেক তার সঙ্গী স্বরূপকে নিয়ে পালিয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি। এদিন বিকেলে শিলিগুড়ি থেকে তাকে ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সুইটি নাথরায় নামের এক গৃহবধূ কসবা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন যে, তাঁর স্বামী অজিত রায়কে সিবিআই অফিসার সেজে কয়েকজন লোক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। এর পর ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে অজিতবাবুর পরিবারকে বারবার ফোন করতে থাকে অভিযুক্তরা। তবে অপহরণকারীরা প্রথমে ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত ১৫ লক্ষ টাকায় রফা হয়। অজিতবাবুর পারিবারিক এক বন্ধু সেই টাকা অপহরণকারীদের দিলে, পরে অজিতবাবুকে ছেড়ে দেয় অভিযুক্তরা। তিনি বাড়ি ফিরে জানিয়েছিলেন, কয়েকজন তাঁকে গাড়িতে তুলে নিজাম প্যালেসের নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে বাইরেই বসিয়ে রাখা হয়। এর পর তাঁর কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা চায় অপহরণকারীরা বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল ধৃত সাংবাদিক।