এমন একটি পরিবারের বিয়েতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন ১২ টি আদিবাসী পরিবার, যাদের এক আত্মীয় আগে থেকেই সামাজিক বয়কটের শিকার হয়েছিলেন। সেই বিয়েতে যোগ দেওয়ার ‘অপরাধে’ সালিশি সভা ডেকে ওই ১২টি পরিবারকেই একধরে করার ফতেয়া জারি করলেন গ্রামের মোড়লরা! বীরভূমের ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
কয়েকদিন আগেই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের গড়াইপুরে। সম্প্রতি এই গ্রামের এক আদিবাসী যুবতীর বিয়ে হয়। সেখানে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান এলাকারই নির্যাতিত ১২টি পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনাটি জানতে পারেন গ্রামের মোড়লরা। সালিশি সভায় ওই পরিবারগুলোর সদস্যদের ডেকে পাঠানো হয়। তারপর চলে বিচারপর্ব। কী বিচার! বছর খানেক আগে গ্রামবাসীদের অমতে এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন গড়াইপুরের সুমন সোরেন। তখনই ‘একঘরে’ করার ফতোয়া জারি করা হয়। সেই থেকে সামাজিক বয়কটের মুখে পড়েন ওই যুগল। এবার সুমনবাবুরই এক আত্মীয়ার বিয়েতে তিনি নির্যাতিত আদিবাসী পরিবারগুলোকে নিমন্ত্রণ করেন। আর তা রক্ষা করতে গিয়েই ফতোয়ার মুখে পড়েছে ১২টি পরিবার। তাঁদের বিরুদ্ধে ফতেয়া জারি করা হয় যে, গ্রামের পুকুর থেকে জল তুলতে পারবেন না পরিবারের কোনও সদস্য। দোকান থেকে কেউ কোনও সামগ্রী কেনাবেচা করতে পারবে না। অভিযোগ, এরপরেই ওই পরিবারগুলোকে একঘরে করে দেওয়া হয়। এতেই বিপাকে পড়েন তাঁরা। পুকুর থেকে পানীয় জল পর্যন্ত নিতে দেওয়া হয়নি তাঁদের বলে অভিযোগ। এতে জলসঙ্কট দেখা দেয় পরিবারে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে সমাজকর্মীদের মধ্য। ঘটনাটি প্রশাসনের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদনও জানিয়েছেন তারা। ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।