অনেকের সঙ্গেই তো কথা হয়। এই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসা মুকুল রায়। তাতে বিজেপি নেতারা তেমন পাত্তা দিতে চাননি। আর ঠিক তার পরের দিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিজেপি নেতা–কর্মীরা বেসুরো গাইতে শুরু করেন। এমনকী বেসুরো সুর শোনা গিয়েছিল নোয়াপাড়া কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিংয়ের মুখে। এবার সুনীল সিং ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলর যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ভাঙন ঠেকাতে পারলেন না বিজেপি নেতারা।
এদিকে সুনীল সিংকে যাতে তৃণমূল কংগ্রেসে নেওয়া না হয় তার জন্য পোস্টার পড়েছিল নোয়াপাড়ায়। এমনকী বিজেপির দুই কাউন্সিলর অশোক সিং এবং গৌতম বসুর বিরুদ্ধেও পড়েছিল পোস্টার। তাতে যে খুব একটা লাভ হয়নি তা এদিনের যোগদানেই পরিষ্কার। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে সুনীল সিং কবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন? এই উত্তর এখনও অজানা। তবে জেলায় জেলায় ভাঙন যে শুরু হয়ে গিয়েছে তা একেবারে স্পষ্ট। বরং আরও ভাঙন হতে পারে বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ।
অন্যদিকে ওই দুই কাউন্সিলর বুধবার যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। নোয়াপাড়া বিধানসভার আনন্দমঠ এলাকায় এক রক্তদান শিবিরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন অশোক সিং এবং গৌতম বসু। গারুলিয়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোক সিং এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পৌরপিতা গৌতম বসু। তাঁদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক এবং নোয়াপাড়া কেন্দ্রের বিধায়ক মঞ্জু বসু। ফুল বদলের পরে তাঁদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, ‘ভুল করেছিলাম। এবার শুধরে নিলাম।’