দিক ভুলে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিল দুই হাতি। বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গল থেকে তারা বেরিয়ে পড়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যে কোনও সময় তারা লোকালয়ে চলে আসতে পারত। তাদের আতঙ্কে ত্রস্ত ছিল গোটা এলাকা। বৃহস্পতিবার রাতে সেই দুই হাতিকে উত্তর দিনাজপুর ও দার্জিলিং জেলার সীমানা হফতিয়াগছ এলাকায় ঘুরছিল। রাতে সেই দুটিকে ভারত বাংলাদেশের সীমান্তের কাঁটাতারের পাশে জঙ্গলের ধারে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। এরপর আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি বনদফতর। এরপর ওই দুটি হাতিকে কাবু করতে তৎপর হয় বনদফতর। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই ওই হাতিদুটির পেছনে ছিলেন বনকর্মীরা। তাদের নজরে রাখা হচ্ছিল। কারণ হাতিদুটি যদি বাংলাদেশের দিকে চলে যায় তাহলে বিপদের সম্ভাবনা ছিল।
এদিকে দলছুট হাতি সাধারণত তাণ্ডব বেশি চালায়। তাদের বাগে আনা বেশি কষ্টকর। এবার আবার একটা হাতি নয়। দুটি হাতি ঘুরছিল সীমান্ত এলাকায়।
রাতে আবার দেখা যায় সেই দুটি হাতি কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছে নো ম্যানস ল্যান্ডের দিকে। বাস্তবিকই হাতির কি আর সীমান্ত আছে! সীমান্তে বেড়া মানে না ওরা। এরপর ক্রমেই এগোতে থাকে তারা। একদিকে বাংলাদেশ আর অপরদিকে ভারত। দুদিকের সীমান্তের লোকজনই আতঙ্কে কাঁটা। এরপর কোথায় যাবে হাতি দুটি তা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়তে থাকে।
এরপরই চুনিয়াটুলি গ্রামের দিকে এগোতে থাকে হাতিদুটি। হালকা কুয়াশার মধ্য়ে হাতিদুটিকে এগোতে দেখা যায়। এরপর আর থেমে থাকেনি বনদফতর। কারণ কাছেই বাংলাদেশ। তার উপর আবার একের পর এক লোকালয়। দলছুট হাতি যদি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে তাহলে আরও বড় সমস্যা। এরপরই জলদাপাড়া থেকে কুনকি হাতি নিয়ে আসা হয়। প্রথমে হাতি দুটিকে ঘুমপাড়়ানি গুলি করে কাবু করা হয়। এরপর তাদের কাঁটাতারের এপারে নিয়ে আসা হয়। কারণ এতে বনদফতরের উদ্ধার করতে সুবিধা হবে। এরপরই ক্রেনে করে হাতিদুটিকে ট্রাকে তোলা হয়। এরপর মহানন্দা অভয়ারণ্যে সেই হাতিদুটিকে নিয়ে আসা হয়।