কাজে খুশি নয় ইউনেস্কো। আর সে কথাটা এবার স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিল ইউনেস্কো। তাতে বেশ চাপে পড়ে গেল দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি ছিল—দু’টি স্টেশনের সংস্কার করার কাজ ছিল। কিন্তু সেই কাজ তেমনভাবে হয়নি। এই নিয়ে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলকে আবার সতর্ক করল ইউনেস্কো। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এমনকী বিষয়টি রেল মন্ত্রকের কাছেও পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর। বারবার বলা সত্ত্বেও কেন সংস্কারের কাজ নির্দেশ মতো হচ্ছে না? এই প্রশ্নও উঠেছে। অবশেষে রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউনেস্কোর পরামর্শ মেনেই সংস্কারের কাজ চলছে। সেটা দ্রুত শেষ করা হবে।
এদিকে কিছুদিন আগে ইউনেস্কোর ওয়েবসাইটে তাদের বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটি শেষ বর্ধিত বৈঠকের সিদ্ধান্তে জানিয়েছে, দার্জিলিং ও ঘুম স্টেশন সংস্কারের কাজ করতে বলা হয়েছিল। তার জন্য কিছু গাইডলাইন দিয়েছিল ইউনেস্কো। তবে যেভাবে কাজ হয়েছে তাতে তারা খুশি নয়। তাই আবার করে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তাছাড়া দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের সার্বিক সংরক্ষণ পরিকল্পনা এখনও জমা হয়নি বলে জানিয়েছে সংস্থা। রেলের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ইউনেস্কোর পরামর্শ মেনেই সব কাজ চলছে।
অন্যদিকে প্রায় তিন বছর আগে থেকে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষকে নানা পরামর্শ দিয়ে আসছে ইউনেস্কো। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে তত কাজ না হওয়ার চিত্রই ফুটে উঠেছে। অর্থাৎ হাইডলাইন অনুযায়ী কাজ এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। আর এটা নিয়েই সতর্কতা জারি করেছে ইউনেস্কো। সেটা মোটেই ভাল লাগেনি রেল কর্তৃপক্ষের। ইউনেস্কোর চোখে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে এমন বেশ কয়েকটি কাজ তুলে ধরা হয়েছে রেলের সামনে। এমনকী ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রিয়াধে বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির ৪৫তম বর্ধিত সভা হয়। সেখানে নেওয়া খসড়া সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই সংস্থার ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। আর সেখানেই এই বিষয়গুলি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক, গারদে মোট তিন তৃণমূল নেতা
তাছাড়া দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের সার্বিক সংরক্ষণ পরিকল্পনা জমা করার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে খসড়া ওয়েবসাইটে পোস্ট করে। সেটা দেখতেও পেয়েছেন রেলের কর্তারা। ইউনেস্কো খসড়া পোস্ট করে ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, সার্বিক সংরক্ষণ পরিকল্পনা জমা হওয়ার পর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র সেটা খতিয়ে দেখবে। খসড়া সিদ্ধান্তে জানানো হয়েছে, ইউনেস্কো যেভাবে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের স্টেশনগুলি সংরক্ষণের কথা বলেছিল সেটা সরাসরি উপেক্ষা করা হয়েছে। তাতে ক্ষুব্ধ ইউনেস্কো বলে খবর। যদিও রেলের সাফাই, দার্জিলিং এবং ঘুম স্টেশন দু’টি প্রচুর টাকা খরচ করে সংস্কার করা হয়। ২০২২ সালে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা দার্জিলিংয়ে আসেন। কিন্তু ইউনেস্কোর পরামর্শ এবং নীতি অনুসারে কাজ না হওয়ায় বিষয়টি ওয়েবসাইটে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে।