বাড়ি গিয়ে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর বয়ান রেকর্ড করল CBI

শুক্রবার সকালেই চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী ও হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুকে নোটিশ দেয় সিবিআই। এর কিছুক্ষণের মধ্যে চন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে পৌঁছন সিবিআইয়ের ৩ আধিকারিক। বুধবারের ঘটনাক্রম সিবিআই গোয়েন্দাদের জানান তিনি।

চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী।

গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর এবার বুধবার তাঁর বাড়ি গিয়ে যে চিকিৎসক তাঁকে বেডরেস্টের পরামর্শ দিয়ে এসেছিলেন তাঁর বায়ন রেকর্ড করল সিবিআই। শুক্রবার সকালে বোলপুর সিয়ান হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর শান্তিনিকেতনের বাসভবনে যান সিবিআইয়ের ৩ আধিকারিক। সেখানে চিকিৎসককে বুধবারের ঘটনাক্রম জিজ্ঞাসা করেন। জানতে চান কার নির্দেশে সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখলেন তিনি। এর পর ফিরে যান সিবিআই আধিকারিকরা।

শুক্রবার সকালেই চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী ও হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুকে নোটিশ দেয় সিবিআই। এর কিছুক্ষণের মধ্যে চন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে পৌঁছন সিবিআইয়ের ৩ আধিকারিক। বুধবারের ঘটনাক্রম সিবিআই গোয়েন্দাদের জানান তিনি। এর পর তাঁরা জানতে চান, কার নির্দেশে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি? কেন সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন করেছিলেন? সংবাদমাধ্যমকে ডাক্তারবাবু জানিয়েছেন, আগে যে কথা তিনি বলেছেন, একই কথা বলেছেন সিবিআই আধিকারিকদের সামনেও।

এনামুলের সঙ্গে প্রতি মাসে ২ কোটি টাকার চুক্তি ছিল অনুব্রতর, খবর CBI সূত্রে

বুধবার সকালে অনুব্রতকে নোটিশ দিতে তাঁর বোলপুরের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের এক আধিকারিক। তিনি বাড়ি থেকে বেরনোর ৫ মিনিটের মধ্যে অনুব্রতর বাড়িতে ঢোকেন চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী ও বোলপুর হাসপাতালের একজন পুরুষ নার্স। অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসা করে বেরিয়ে তিনি জানান, তাঁর একাধিক সমস্যা রয়েছে। ফিশচুলায় ভুগছেন। তাই অনুব্রতকে ১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখে দিয়েছেন তিনি।

কিন্তু সন্ধে গড়াতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে চিকিৎসক অধিকারী বলেন, ‘আজ আমার ছুটি ছিল। সকালে বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু আমাকে ফোন করে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের অবস্থা ভালো নয়। তাঁর চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। অনুব্রতকে দেখতে আপনাকে তাঁর বাড়ি যেতে হবে। তখন আমি বলি, ওনার তো একাধিক সমস্যা রয়েছে, ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে সুবিধা হয় না? জবাবে বুদ্ধদেববাবু বলেন, তার দরকার নেই। আপনি বাড়ি গিয়েই দেখুন।’

এর পর চিকিৎসক জানান, ‘অনুব্রত মণ্ডলকে আমি কোন কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখে দেব, তা জানতে চাই। জবাবে সুপার বলেন, সাদা কাগজে লিখে দিন।’ চন্দ্রনাথবাবু জানিয়েছেন, অনুব্রতর বাড়ি গিয়ে তিনি দেখেন, তাঁর অর্শ পেকে উঠেছে। তিনি ব্লাড সুগার ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। অনুব্রত তাঁকে ১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখে দিতে অনুরোধ করেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, আমি বোলপুরে থাকি। ওনার বাড়িতে বসে ওনার অনুরোধ ফেলতে পারিনি।