অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে একেবারে বেলাগাম আক্রমণ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। একেবারে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্বভারতী নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন। কারণ তাঁকে তাঁর স্তাবকরা যা শোনান তিনি তাই বিশ্বাস করেন এবং টিপ্পনি করেন। গত ৩১ শে জানুয়ারি তিনি বোলপুরের রাঙাবিতানে বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক, পাঁচজন ছাত্র ও একজন গবেষণারতা ছাত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বেশ কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেছেন জনসমক্ষে। ….মুখ্য়মন্ত্রী একটু বাড়াবাড়ি করলেন না কি? অবশ্য় তিনি যদি নিজেকে আদালতের উপরে ভাবেন তবে অবশ্য় বলার কিছু নেই। ’
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বভারতীতে দেওয়াল তোলার ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। ওনার নিরাপত্তার জন্য বোলপুর শহর ঘিরে ফেলা হল। ওনার বাসস্থান হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে কি দেওয়াল নেই। এই দেওয়াল তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে অন্তত তিনযুগ আগে। তখন তো তথাকথিত আশ্রমিকরা প্রতিবাদ করেননি।… মুখ্য়মন্ত্রীর স্নেহধন্য পার্টি সদস্যরা যখন ২০২০ সালের অগস্ট মাসে ঐতিহ্যমন্ডিত তোরণ ভাঙল তখন আশ্রমিকরা তো প্রতিবাদ করেননি।…’
‘মাননীয়াকে অনুরোধ করব কান দিয়ে না দেখে বুদ্ধি দিয়ে বিচার করুন। আজ আপনার মনোনীত মন্ত্রী আর উপাচার্য গারদের ভেতরে কী করে হল? ….আপনার প্রিয় শিষ্য যাকে না হলে আপনি বীরভূম ভাবতে পারেন না তিনিও জেলে। কবে বেরোবেন কেউ জানেন না।…যদি স্তাবক পরিবৃত্ত হয়ে থাকতে ভালোবাসেন তাহলে সামনে আরও বিপদের সম্মুখীন হবেন।’
এরপরে লেখা হয়েছে, 'আপনার আশীর্বাদ না থাকলে আমাদের সুবিধা কারণ আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলতে অভ্যস্ত। '
ছত্রে ছত্রে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ। একেবারে সরাসরি নিশানা মুখ্যমন্ত্রীকে।
এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে ফের বিস্ফোরক বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, স্তাবকরা সেই কথাটাই বলেন যেটা তিনি শুনতে ভালোবাসেন। তিনি কান দিয়ে দেখেন।
তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি ( বিশ্বভারতীর উপাচার্য) কদর্য ভাষায় কথা বলেছেন। তাঁর সঙ্গে বিজেপি নেতার মিল পাওয়া যাচ্ছে। বিজেপির দলদাসের মতো শোনাচ্ছে।
বিজেপি নেতা রাহুল সিংহের দাবি, যিনি যে ভাষায় বুঝতে পারেন তাঁকে সেই ভাষাতেই বলা দরকার।
এদিকে বিশ্বভারতীয় পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিতে পারেন। তার আগেই বিশ্বভারতীর এই খোলা চিঠি।