আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে চড় মারার হুমকি দিয়েছিলেন ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের নিরপেক্ষতা তুলে ধরেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তুলনা টেনে এনেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে। প্রশ্ন তুলেছেন, বিশ্বভারতীয় ভিসি গ্রেফতার হয়েছেন কি? এবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের ক্ষোভ জানাতে চান মুখ্যমন্ত্রীকে।
বিশ্বভারতীতে লাগাতার ছাত্র আন্দোলন চলছে। সেখানে উত্তাল পরিস্থিতি। যার জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। সেখানে উপাচার্য গ্রেফতার হননি বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলে মুখ্যমন্ত্রী দরবারে হাজির হতে চান ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন উপাচার্য। এই বিষয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অভিযোগ, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের লোকেরা তাঁকে রোজ গালিগালাজ করেন।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? সোমবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপাচার্য বলেছিলেন, ‘বিশ্বভারতী বোলপুর নিয়ে যা হচ্ছে সেই ব্যাপারে কিছু লিখুন। ক’জন অ্যারেস্ট হয়েছে? বিশ্বভারতীর ভিসি কি অ্যারেস্ট হয়েছে? যে একটু কটু খারাপ কথা বলেছে, তাঁকে অ্যারেস্ট করেছে পুলিশ। আমাদের এখানে পুলিশ অ্যাকশন নেয়।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘বিশ্বভারতীতে দিনের পর দিন অশান্তি হয়। দিনের পর দিন আমাকে অশ্রাব্য, কুশ্রাব্য গালিগালাজ করা হয়। তাঁরা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের দ্বারা পরিচালিত। আমি চাইছি, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার বক্তব্য রাখার একটি সুযোগ দেওয়া হোক।’