সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে ফের জেলায় জেলায় তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। সেই পরিস্থিতিতে এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে সামাল দিতে আরও কড়া হচ্ছে দল। এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের জেলা কো অর্ডিনেটর তথা বিধায়ক অজিত মাইতি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সভা থেকে তিনি এনিয়ে সরব হন। মানস ভুঁইয়াকে বিষয়টি দেখার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। গ্রুপবাজিকে যে দল ভালো চোখে দেখছে না সেকথাও কার্যত জানিয়ে দেন তিনি।অন্যদিকে দলের অন্দরের দ্বন্দ্বের কথাও কার্যত স্বীকার করে নেন তিনি।
এদিকে এবার সভার মধ্যে এভাবে দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির দাবি, এই দ্বন্দ্বের কথা তো এতদিন আমরা বলতাম। এবার তা তৃণমূলের নেতারাই স্বীকার করে নিচ্ছেন। আসলে তৃণমূলের গোটা দলটাই দ্বন্দ্বে ভুগছে।
সভাতে অজিত মাইতি বলেন, আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ১৪টা গ্রুপ হয়ে আছে। এই গ্রুপ কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। আপনাদেরও বলে দিচ্ছি ফেডারেশনের গ্রুপ কোনও মতে বরদাস্ত করা হবে না। সে যতবারই নেতা হোক। সাফ জানিয়ে দিলেন অজিত মাইতি।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি যে কার্যত তিতিবিরক্ত এদিন যেন তারই বহিঃপ্রকাশ হল। একেবারে বিরক্তি ঝড়ে পড়ছিল তাঁর গলায়। রবিবারের মিটিংয়ে বিধায়কের কাছ থেকে এই দ্বন্দ্ব নিয়ে ধমক খেয়ে কার্যত অস্বস্তিতে অনেকেই। অন্য়দিকে অজিত মাইতির এই বক্তব্যে হাততালিও পড়েছে যথারীতি। মানস ভুঁইয়ার সামনেই তিনি এনিয়ে সরব হন।
তিনি বলেন, এই যে মানসদা নতুন দায়িত্ব পেয়েই একটা সিস্টেম তৈরি করেছেন। এখন থেকে আমি আশা করব এই অফিসটাকে কেন্দ্র করে এখানেই বসুন। কার্যত একই সংগঠনের একাধিক কার্যালয় করার বিরুদ্ধেও ফোঁস করে ওঠেন মন্ত্রী। তবে বাস্তবে কতটা এই বক্তব্য কাজে দেবে তা বলবে সময়।
তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, অজিত বাবু প্রকাশ্যে স্বীকার করছেন গোষ্ঠীর কথা। আসলে এই গোষ্ঠী করেই শেষ হবে তৃণমূল। এর দায় মেনে নিন। কালীঘাটে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিন।
এনিয়ে অজিত মাইতির পালটা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বিজেপির এত মাথা ঘামানো কেন? ওদের মাথার যন্ত্রণার কারণ কী? ওরা নিজের চরকায় তেল দিন। মানস ভুঁইয়া বলেন, আমরা সব প্রতিষ্ঠানকে একজায়গায় জুড়ে একটা মহাবিদ্যালয় তৈরি করে দিলাম।