লোকসভা নির্বাচনে দিনক্ষণ ঘোষণার আগে রাজ্যে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সকালে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি বেলায় পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে কমিশন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে কমিশনের ধমক খেতে হল কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে।
এদিন কমিশনারের কাছে কমিশন জানতে চায়, সিভিক ভলান্টিয়ার ও গ্রিন পুলিশ কী? তার জবাবে বিনীত গোয়েল বলেন, একই টাইপের। এই জবাব শুনে বেজায় বিরক্ত হয় কমিশন। পুলিশ কমিশনারকে কমিশন বলে, ' জেনে তারপর উত্তর দিন। পার্থক্য বুঝে তারপর বলুন।'
সিভিক ভলান্টিয়ারে 'না' কমিশন
বৈঠকে কমিশনের ফুল বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনও ভাবেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না। সে কারণে কমিশন স্পষ্ট হতে চেয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার ও গ্রিন সম্পর্কে। কমিশনের কথায় নির্বাচনে যেন কোনও রকম বোমাবাজির খবর শুনতে না হয়। এর আগের ভোটের মতো বাংলার ভোট যেন কোনও রক্তাক্ত না হয়। প্রথমদফার আগেই জামিন অযোগ্য ধারা কার্যকর করতে হবে। কমিশনের কাছে এই সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন। : ‘শাহজাহানের জন্য উদ্বেগ, আর আমার…' ইডি হানার পর মমতা ভূমিকায় একরাশ অভিমান তাপসের
কমিশনের বৈঠকে উঠল শাহজাহান ও সন্দেশখালি
পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে উঠল শেখ শাহজাহান ও সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। পুলিশ কর্তাদের কাছে এ নিয়ে জানতে চায় কমিশনের ফুল বেঞ্চ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দেন, শেখ শাহজাহানের মতো লোককে ভোটের সময় বরদাস্ত করা হবে না। এক্ষেত্রে কমিশনের স্পষ্ট বার্তা এলাকায় যেন দাগি আসামীরা না থাকে।
আরও পড়ুন। শো-কজ চিঠি পড়িনি, সন্ধ্যায় সুদীপদার বাড়ি চা খেতে যাব,’ বললেন কুণাল
ভুয়ো ভোটার প্রসঙ্গ
আইন-শৃঙ্খলার পাশপাশি ভুয়ো ভোটার প্রসঙ্গও ওঠে এদিনের বৈঠকে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ এসেছে কমিশনের কাছে। পুলিশ-প্রশাসনকে কমিশন এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেছে। নতুন করে যাতে ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ না আসে সেদিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
এর আগের বৈঠকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অধিকাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর ভরসা রেখেছে । তবে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত হয়ে যাতে তারা ভোট করে সে দিকে নির্বাচন কমিশনকে নজর দিতে বলেছে।