বাংলাকে তিন টুকরো করার কথা যিনি বলেছেন, তাঁকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদে বসানো হচ্ছে। বুধবার এই ভাষাতেই বিজেপির প্রতি কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই উওরবঙ্গ নামে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবিতে সরব হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। বিজেপি সাংসদের এই বিতর্কিত মন্তব্যকে সমর্থন করেনি রাজ্য বিজেপি। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার যে রদবদল হয়েছে, তাতে জায়গা করে নিয়েছেন জন বারলা। তাঁর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নেওয়ার পরই তৃণমূল সাংসদের এই টুইট রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন টুইটে কটাক্ষের সুরেই বিজেপি সাংসদ জন বারলার নাম না করেই কৃ্ষ্ণনগরের সাংসদ জানান, ‘ বিজেপি সাংসদ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গকে তিনভাগে ভাগ করা উচিত। বিজেপি তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেনি। অথচ তাঁকেই মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে পুরস্কৃত করা হল। খেলা তো শুরু হয়ে গিয়েছে।’ কৃষ্ণনগরের সাংসদের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, রাজ্য বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা যাই ভাবুক না কেন, বাংলাকে তিন টুকরো করার কথা যে বলেছেন, তাঁকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
কিছুদিন আগেই বিজেপি সাংসদ জন বারলার মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, জন বারলা যা বলেছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত হতে পারে। কিন্তু এই মন্তব্যকে বিজেপি সমর্থন করে না। বারলা যাতে এই ধরনের মন্তব্য না করেন, সেই উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি।
তবে বারলার বক্তব্যকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে বিজেপির বেশ কয়েকজন উত্তরবঙ্গের বিধায়ককেও। এই রাজ্য ভাগের মন্তব্যের পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আলিপুরদুয়ারে সাংগঠনিক বৈঠক করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দিলীপের ডাকা বৈঠকে হাজির ছিলেন না বারলা। তখন থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, বারলার সঙ্গে রাজ্য বিজেপির নেতাদের দুরত্ব তৈরি হতে শুরু করেছে। তবে এবার যেভাবে বারলাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হল, তাতে বিজেপির ভিতরের রাজনৈতিক সমীকরণ কোনদিকে এগোয় এখন সেটাই দেখার।