গ্রামীণ পরিকাঠামো তৈরি করতে রাজ্যের ২৫৬৮ গ্রাম পঞ্চায়েতকে ৪৬১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা দেওয়া হল। বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্যে রাজ্যের গ্রামগুলিকে আরও উন্নত করতে টাকা বরাদ্দ করল পঞ্চায়েত। কোন গ্রাম পঞ্চায়েত কত টাকা পাচ্ছে, তা নির্ধারণ করা হয়েছে পঞ্চায়েতের জনসংখ্যা, ভৌগোলিক পরিধি এবং কাজের মূল্যায়ণের নিরিখে। এই মূল্যায়ণ করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। এই অর্থ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির আরও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করতে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
রাজ্যে মোট গ্রাম পঞ্চায়েত সংখ্যা ৩২২৯। সেখানে ২৫৬৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে সশক্তিকরণ কর্মসূচিতে এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভবন থেকে সেইসব গ্রাম পঞ্চায়েতকে টাকা পাঠিয়ে দিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। এই টাকায় রাস্তা নির্মাণ, পানীয় জলের জন্য গভীর নলকূপ খনন, নিকাশি নালা তৈরি, নতুন কালভার্ট তৈরি, বাড়ি তৈরি, সৌর শক্তির ব্যবহার–সহ নানা পরিকাঠামো তৈরি করতে পারবে বলে জানান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত ভবনে পঞ্ছায়েতি রাজ পত্রিকার জনস্বাস্থ্য সংখ্যার উদ্বোধন করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ২০১১ সাল থেকে রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে যে কাজ হয়েছে তার মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রত্যেক বছর বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে একটি অনুদান পেয়ে আসছে। ২০২০–২১ অর্থবর্ষে বিশ্বব্যাঙ্ক ৪৬১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি। সুতরাং পঞ্চায়েত স্তরে যে বিপুল পরিমাণ কাজ হচ্ছে তা একপ্রকার প্রমাণিত বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গত ১০ বছর আগে আমি যখন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ছিলাম তখন বিভিন্ন প্রকল্পে সারা দেশের নিরিখে আমরা ২৭–২৮ নম্বরে ছিলাম। এখন আমাদের একাধিক প্রকল্প কাজের নিরিখে দেশের সেরা। আরও অনেক প্রকল্প দু’নম্বরে রয়েছে।’ বাংলা আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা, মিশন নির্মল বাংলা, আনন্দধারার মতো বেশ কয়েকটি প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ দেশের সেরা বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী।