ঘর জামাই না থাকলে স্ত্রীকে ভুলে যেতে হবে। নতুন জামাইকে এরকমই হুমকি দিয়েছিলেন শশুর। এমনকি জামাইকে মারধরও করা হয়েছিল। শ্বশুরের হুমকি এবং অত্যাচার সইতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন জামাই। ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়ার ১ নম্বর ব্লকের খাজুরডিহি গ্রামে। আত্মঘাতী যুবকের নাম সুরজিৎ ঘোষ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাস চারেক আগেই প্রিয়া ঘোষ নামে পূর্বস্থলীর দোগাছিয়া গ্রামের এক যুবতীকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সুরজিতের পরিবার তাদের বিয়েকে মেনে নিলেও প্রিয়ার পরিবার কিছুতেই সেই বিয়েকে মেনে নিতে পারেনি। তাতেই শুরু হয় অশান্তি। বিয়ের পর সুরজিৎ স্ত্রীকে নিয়ে নিজের বাড়িতেই ছিলেন। অভিযোগ, তার ১৫ দিন পরেই প্রিয়ার বাবার বাড়ির লোকজন এসে সুরজিৎকে বেধড়ক মারধর করে এবং তারপর একপ্রকার জোর করেই প্রিয়াকে বাড়ি নিয়ে চলে যান তার বাবা।
পরিবারের অভিযোগ, সুরজিতের শ্বশুর তাকে হুমকি দিয়েছিল যাতে কোনওভাবেই তিনি প্রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ না করেন। এর জন্য তিনি সুরজিৎকে শর্ত বেঁধে দিয়েছিলেন শ্বশুর। শর্ত হিসেবে তাকে ঘর জামাই থাকার কথা বলা হয়েছিল। তা না হলে প্রিয়ার খোঁজ নিলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন সুরজিতের শ্বশুর। এদিকে, ঘরজামাই থাকতেও রাজি ছিলেন না সুরজিৎ।
সুরজিতের মায়ের অভিযোগ, 'ক্রমাগত হুমকির মুখে ভয় পেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তার ছেলে।' এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, মৃতদেহ উদ্ধার করে কাটোয়া হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।