নিষেধ সত্বেও যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বজায় রাখায় বাবার হাতে খুন হলেন ছেলে। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলির হামিদপুরের। নিহত আলিমুদ্দিন শেখ পেশায় ভিনরাজ্যের শ্রমিক। শনিবার রাতে ফোনে যুবতীর সঙ্গে কথা বলার সময় পিছন থেকে ছেলের পেটে ছুরি বসিয়ে দেন বাবা আবদুল সালেক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনে কাজ হারানোয় মাস খানেক আগে বাড়ি ফেরেন আলিমুদ্দিন। বাড়ি ফিরে স্থানীয় এক যুবতীয় সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। যা একেবারেই পছন্দ ছিল না বাবা আবদুল সালেকের। ছেলেকে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন তিনি। কিন্তু বাপের কথায় কান দেয়নি ছেলে। যুবতীর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখে সে। কখনো ফোনে কখনও সাক্ষাতে কথা হতে থাকে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আলিমুদ্দিনের বাড়ির কাছেই ওই যুবতীর দিদির শ্বশুরবাড়ি। শনিবার দিদির বাড়িতে এসেছিল তরুণী। সেখানে অনেক্ষণ প্রেমিকের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। এর পর বাড়ি ফিরে ফের যুবতীকে ফোন করেন আলিমুদ্দিন। রাতে বাড়িতে বসে যখন যুবতীর সঙ্গে যখন যুবক প্রেমালাপে ব্যস্ত তখনই পিছন থেকে ছেলের পেটে ছুরি বসিয়ে দেন আবদুল সাকেল। সঙ্গে সঙ্গে রক্তে ভেসে যায় চারদিক। ব্যাপক রক্তক্ষরণ কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় আলিমুদ্দিনের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পূর্বস্থলি থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে তারা। ঘটনার পর থেকে পলাতক খুনি বাবা আবদুল খালেক। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। নিছক প্রেমের এমন পরিণতিতে হতবাক পড়শিরা।