জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মেধা তালিকায় তাঁর স্থান ছিল ২২। মাধ্যমিকে দ্বিতীয় ও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন ডক্টর চন্দ্রনাথ অধিকারী। যাঁকে গোটা রাজ্য এই মুহূর্তে চিনে গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে ঘটনা পরম্পরার মধ্য দিয়ে। মঙ্গলবার সকালে অনুব্রত মণ্ডলকে গিয়ে চেক আপ করে আসেন বোলপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের এই চিকিৎসক। প্রশ্ন উঠতে থাকে তাঁর 'সাদা কাগজে বেডরেস্ট' এর পরামর্শ লেখা নিয়ে।
চন্দ্রনাথ অধিকারী দাবি করেছেন, তাঁকে জোর করে এমনটা করতে বাধ্য করা হয়। অনুব্রতকে ১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখে আসার পর থেকে বিবেক দংশনে ভুগছিলেন চন্দ্রনাথ। তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে বলেন, 'মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হয়েছিলাম, উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থান পেয়েছিলাম৷ জয়েন্ট এন্ট্রান্সের কাউন্সিলিংয়ে আমার স্থান ছিল ২২৷ সেদিন থেকেই নিজের মেরুদণ্ডটা সোজা রেখেছি৷ ' সাফ জানান অনুব্রত মণ্ডলকে সাদা কাগজে বেড রেস্ট লিখে আসতে তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল। তারপর প্রভাবশালী নেতার বাড়ির সামনে দাঁডিয়ে থাকা সংবাদমাধ্যমের সামনেও মুখ খুলতে দ্বিধা হয় তাঁর। তবে বাড়ি ফিরেই তিনি জানান, ' মনে হচ্ছিল সাধারণ মানুষের কাছে আমি হেয় হয়ে গেলাম। আমি বরাবরই অন্যায়ের প্রতিবাদ করি, মেরুদণ্ড বাঁকাতে পারব না। ' কোভিডের উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও টেস্ট করাননি ৬৩ % মানুষ! সমীক্ষা কোন এলাকার?
বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিতে চন্দ্রনাথ বলছেন, চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, 'আমি সরকারি কর্মচারী। সুপারের নির্দেশ মানতে বাধ্য৷ সুপারের নির্দেশেই গিয়েছিলাম৷ উনি বলে দিয়েছিলেন সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখে দিতে৷ চিকিৎসা করার সময় অনুব্রত মণ্ডল অনুরোধ করেন ১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখে দিতে৷ তাই লিখে দিয়েছি।' ৬ বছর আগে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তার আগে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস, বি সি রায় হাসপাতাল থেকে শিশুরোগ চিকিৎসায় ডিপ্লোমা। সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়ে প্রথমে উত্তর দিনাজপুর ও পরে মুর্শিদাবাদে বদলি হন তিনি। আর এই চিকিৎসককে ঘিরেই সদ্য অনুব্রত-কাণ্ডে তোলপাড় হয় রাজ্য।