কয়েকদিন আগেই খড়গপুর আইআইটিতে এক ছাত্রের হত্যা ঘিরে শোরগোল শুরু হয়। ফয়জান আহমেদ নামে ২৩ বছর বয়সী ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বহু প্রশ্ন ওঠে। পরিবারের দাবি, ফয়জানকে খুন করে রেখে দেওয়া হয়। যদিও পুলিশের দাবি ছিল বহু দিন ধরে অবসাদে ভুগছিল ফয়জান। এদিকে, সেই মর্মান্তিক কাণ্ডের পর এবারের দীপাবলি খড়গপুর আইআইটিতে ছিল জৌলুসহীন। প্রতিবারের মতো সেখানে প্রদীপ জ্বালানো ও রংগোলির উৎসব ছিল। তবে এবারে সেই উৎসবে অংশ নেয়নি লালা লাজপত রাই হল, যে হস্টেলে থাকতেন প্রয়াত ফয়জান।
লালা লাজপত রাই হল-এর পড়ুয়ারা ফয়জানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, একটি স্মরণ সভার আয়োজন করে। এদিকে, প্রদীপ দিয়ে হল সাজানো হলেও, তাতে প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ আয়োজন রাখা হয়নি। একজন পঞ্চম বর্ষের পড়ুয়া এক সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তাঁদের মধ্যে দীপাবলি উদযাপনের উৎসাহ সেভাবে বেশি দেখা যাচ্ছে না। অনেকেই সেখানে ফয়জানের নামে রংগোলি তৈরি করেছেন, অনেকে ফয়জানের ছবির সামনে সাদা ফুল দিয়ে জানিয়েছেন শ্রদ্ধার্ঘ। পড়ুয়ারা বলছেন, সব কিছু ফয়জানের প্রতি অর্পণ করা হয়েছে। তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়েই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বহু পড়ুয়া বলছেন, মোমবাতি জ্বালিয়ে সকলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন যে, যা ফয়জানের সঙ্গে ঘটেছে, তা আর কারোর সঙ্গে ঘটবে না। যাতে আগামী ভবিষ্যতে তাঁরা একসঙ্গে থাকতে পারেন, একাত্ম হয়ে থাকতে পারেন তার জন্য সমবেতভাবে তাঁরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন।
প্রসঙ্গত, আইআইটি খড়গপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ফয়জালের মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁর পচাগলা দেহ হস্টেল রুম থেকে উদ্ধার হয়। এররপর দেহ শণাক্ত করার পর তাঁর বাবা দাবি করেন, ওই দেহ তাঁর ছেলের নয়। তিনি বলেন, যাঁর দেহ দেখানো হয়েছে, তা অনেক বেশি মেদ বহুল, তাঁর ছেলে মেদবহুল নন। এছাড়াও ফয়জানের বাবার দাবি, তাঁর ছেলেকে খুন করে ফেলে রাখা হয়েছিল। এদিকে, পুলিশের দাবি মানসিক অবসাদের জেরে ফয়জানের এমন ঘটনা ঘটেছে। জানা যায় ফয়জানের বাড়ি অসমের তিনসুকিয়ায়। সেই ফয়জানের স্মৃতিতেই আইআইটি খড়গপুরে আয়োজিত হল বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ।