শহরের বুকে আবারও ভুয়ো কল সেন্টারের হদিস পেলেন গোয়েন্দারা। ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণার অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তল্লাশি চালিয়ে ৪১/এ ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধৃতদের মধ্যে অধিকাংশেরই বাড়ি একবালপুরে। মুহাম্মদ নঈম নামে এক যুবকের নেতৃত্বে রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করতো এই চক্র। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এই কাজ করছিল। মাসখানেক আগেই কলকাতার থানার কাছে প্রতারিত এক ব্যক্তি নিজের অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরে স্বতঃস্ফূর্ত মামলা রুজু করে কলকাতা সাইবার থানা। সাইবার থানা থেকে ঘটনা তদন্তের জন্য মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় গুন্ডা দমন শাখায়। এরপরেই প্রতারণার এই চক্র ফাঁস করতে তদন্তে নেমে পড়েন গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা। প্রতারকদের সেখানে থাকার খবর পেয়েই বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে গোয়েন্দারা হানা দেন। সেখান থেকে হাতেনাতে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নথি, কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক এবং মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রসহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। শুক্রবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইদানিং শহরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ভুয়ো কল সেন্টার। যার মাধ্যমে কখনও মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে আবার কখনো বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা হচ্ছে। যুবকদের পাশাপাশি এই প্রতারণার চক্রে নেমে পড়েছেন যুবতীরাও। একবালপুরের ঘটনার কয়েকদিন আগেই বাগুইআটিতে মহিলাদের দ্বারা চালিত ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পেয়েছিল পুলিশ। সেখানে তিন জন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। যার মধ্যে দুজন যুবতী প্রাক্তন আর্মি অফিসারের কন্যা।