২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে শুধু শহিদ স্মরণ নয়, পঞ্চায়েত ভোটের বিজয় উৎসব এবং ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের প্রচারও শুরু করবে তৃণমূল কংগ্রেস। তার প্রচারে ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কিছু রাস্তায় হোর্ডিং পড়ে গিয়েছে। এবার শহর জুড়ে ২১ জুলাইয়ের প্রচারের প্রস্তুতি শুরু করে দিল দল। বুধবার উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল ‘ধর্মচলা চলো’ কর্মসূচির কৌশল ঠিক করার জন্য একটি বৈঠক করল। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১১ জুলাই থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে পথসভা ও একটি করে মিছিল সংগঠিত করা হবে।
(পড়তে পারেন। ভোট মিটলেই 'দিল্লি চলো', বকেয়া আদায়ের ধর্নায় থাকতে পারেন মমতা, জানালেন অভিষেক)
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। ছাড়াও জেলার সব তৃণমূল বিধায়ক, কাউন্সিলার ছাড়াও ৬১টি ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি, ছাত্র-যুব ও মহিলারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ১১ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে দুটি মিছিল ও দুটি করে পথসভা করবে দল। এ ছাড়া রাজাবাজার, কাশীপুর, শ্যামবাজার ও জাাকরিয়া স্ট্রিটে আলাদা করে পথসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৭ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় রাজাবাজারে একটি পথসভা হবে।
এমনিতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে ‘ধর্মতলা চলো’র হোডিং পড়ে গিয়েছে। এ ছাড়া কাউন্সিলার ও ওর্য়াড তৃণমূল ও যুব সভাপতিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রচারে নেমে পড়ার জন্য।
দূরের জেলা থেকে দলের যে সব কর্মী-সমর্থকরা ট্রেনে করে আসেন তাদের স্বাগত জানানো জন্য শিয়ালদহে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। এবার সেই ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য কে কোন দায়িত্বে থাকবেন বৈঠকে তা স্থির করে দেন রাজ্য সভাপতি।
উত্তর কলকাতায় সমস্ত কর্মশালা কমিউনিটি ও ধর্মশালায় থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কর্মীদের। তা যাতে দ্রুত করে ফেলা যায় তার নির্দেশ দিয়েছেন সুব্রত বক্সি। ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে মহিলা সংগঠনের পাশাপাশি বঙ্গজননীকেও প্রচারে নামতে বলা হয়েছে।
এ দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ ডা. শান্তনু সেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব।