'সময়ের সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএম নিজেদের বদলাতে পারেনি। সেই কারণে আজকে তারা পিছিয়ে রয়েছে।' একটি বাংলা সংবাদ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এভাবেই সিপিএম এবং কংগ্রেসকে বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'সিপিএম এবং কংগ্রেস সময়ের সঙ্গে নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি বলেই তারা বারবার ব্যর্থ হয়েছে।' এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তার বক্তব্যে উঠে এসেছে মেঘালয়, গোয়ার রাজনীতির প্রসঙ্গ।
সম্প্রতি মেঘালয়, গোয়াতে প্রভাব বিস্তার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'কংগ্রেসের ব্যর্থতা জেরেই আজ তৃণমূল কংগ্রেস গোয়া এবং মেঘালয় পৌঁছাতে পেরেছে।' তাঁর নিশানা থেকে বাদ যায়নি বিজেপিও। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বহুবার পরিবার তন্ত্রের অভিযোগ করেছে বিজেপি। এনিয়ে পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে, তৃণমূলের খারাপ সময়ে যারা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাদের পুনরায় তৃণমূলে না ফেরানোই উচিত বলে তিনি মনে করছেন। তিনি বলেন, 'দল হেরে যাবে ভেবে যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল তাদের জন্য তৃণমূলের দরজা বন্ধ রাখাই উচিত বলে আমি মনে করি।' যদিও ইদানিং বহু নেতা যারা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তারা আবার তৃণমূলে ফিরে আসছেন।
বহু বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতপার্থক্য রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মতপার্থক্য যতই থাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দলের সুপ্রিমো তা সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, কয়লা, গরু পাচার সহ একাধিক কেলেঙ্কারিতে অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, 'কেউ যদি তার প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব।'