অক্সিজেন প্ল্যান্ট নিয়ে তিনি জেলাশাসককে চিঠি লিখেছিলেন। রাজ্যে ভ্যাকসিনের সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। এবার কড়া চিঠি লিখলেন তিনি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। হ্যাঁ, তিনি বহরমপুরের সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, দু’বছর ধরে সাংসদ তহবিলের টাকা হাতে পাচ্ছেন না সাংসদরা। তাই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে জনসেবামূলক কাজও আটকে গিয়েছে। তাও অর্থাভাবে। সেই অর্থ এবার দেওয়া হোক দ্রুত কাজ করার জন্য। এই নিয়ে কড়া চিঠি এবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে লিখলেন কংগ্রেস সংসদীয় নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে স্পিকারকে হস্তক্ষেপ করতে বলেছেন তিনি। কিন্তু অধীর চৌধুরীর এই অভিযোগ সত্য হলে অস্বস্তি বাড়বে নরেন্দ্র মোদী সরকারের।
এখন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। বাড়ছে সংক্রমণ। আর হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে। তাই এই অবস্থার মোকাবিলা করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। আবার অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলায় আছড়ে পড়েছে। সেই কাজে হাত লাগানোর জন্যও প্রয়োজন অর্থ। কিন্তু গত দুই অর্থবর্ষের সাংসদ তহবিলের টাকা এখনও আটকে। তাই নিজ নিজ এলাকায় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে সাংসদদের কাছে। এই সমস্যার কথা জানিয়ে এবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে কড়া চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘এখন অক্সিজেন প্ল্যান্ট, ভেন্টিলেটর, পিপিই কিটের বাড়তি জোগান দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। টাকার অভাবে তা কিনতে পারছেন না অনেক সাংসদ। এই তহবিল দ্রুত ছাড়তে স্পিকার যাতে ব্যবস্থা নেন।’
উল্লেখ্য, আগে নিজের সংসদীয় এলাকা বহরমপুরে কোভিড হাসপাতাল গড়তে চেয়ে কেন্দ্রের সাহায্য চেয়ে নানা জায়গায় চিঠি লিখেছিলেন অধীর চৌধুরী। সূত্রের খবর, সিবিআই প্রধান নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর একান্তে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে বহরমপুরের সাংসদের। সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, কোভিড হাসপাতাল তৈরি করার। এবার অধীর চৌধুরী সাংসদ তহবিলের টাকা পাওয়ার জন্য তৎপর হলেন।