কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার বোমা ফাটালেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। এবার তিনি নিশানা করেছেন বিজেপির নীচুতলায়। রাজ্য নেতাদের এবার আক্রমণ করেননি। তবে এবার তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। আর তাতে বিজেপির অন্দরে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে একটা খেলা চলছে বলে তিনি মনে করেন। কারণ সেখানে নাকি প্রশান্ত কিশোরের লোক রয়েছে। কৌশলে বিজেপিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিজেপির খাতায় নাম লিখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে। এমনকী তার জন্য মাস মাইনেও পাচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার বারবেলার টুইটে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি।
ঠিক কী লিখেছেন তিনি টুইটে? এদিন প্রাক্তন মেঘালয়ের রাজ্যপাল লেখেন, ‘পাশের গ্রামে বাড়ি। তাকে ফোন করে বলছিল ১৩ হাজার টাকা করে মাইনে দেবে বিজেপিতে জয়েন করে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য। তাই আমার মনে হয় বিজেপিতে এখনও নীচেরতলায় এরকম অনেক পিকে’র মাইনে দেওয়া কর্মী আছে। যতদিন না এদের চিহ্নিত করা যাবে বিজেপিকে জেতা না খুবই অসম্ভব।’ এমনকী বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করারও আহ্বান জানিয়েছেন তথাগত রায়।
একুশের নির্বাচনের পর থেকে তথাগত রায়কে দেখা গিয়েছিল দলের নেতাদেরকে তুলোধনা করতে। সেখানে কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে দিলীপ ঘোষ কেউ বাদ যাননি। পরিবর্তে তাঁকে দল ছেড়ে দেওয়ার নিদান দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, দিলীপের কথায় তিনি দল ছাড়বেন না। বরং অভিভাবক হিসাবে পরামর্শ দিয়ে যাবেন। এবার দলের অন্দরে এমন লোকজন রয়েছে বলে তিনি সেই ভূমিকাই পালন করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আবার সম্প্রতি তিনি ত্রিপুরার পুরসভা নির্বাচনের পর টুইট করে বলেছিলেন, রাজ্যে বিজেপি যেভাবে হেরেছিল ত্রিপুরায় সেভাবেই হেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘এই টুইট করে তিনি বিজেপি নেতাদের খোঁচাই দিয়েছেন। কারণ দলের নীচুতলায় প্রশান্ত কিশোরের মাইনে করা লোক রয়েছে, আর দলীয় নেতারা তা জানেন না সেটা বোঝাতেই এই টুইট।’