এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সিমেন্ট, বালি, স্টোনচিপসের মতো নির্মাণ সমাগ্রীর জন্য বাড়ছে দূষণ। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে ইতিমধ্যেই নির্মাণ সামগ্রীর দূষণ নিয়ন্ত্রণে গাইডলাইনও তৈরি করে দিয়েছে। সেই গাইডলাইন মানার জন্য প্রমোটার এবং নির্মাণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিল কলকাতা পুরসভা। নির্মাণের ফলে দূষণ হচ্ছে কিনা তার উপর নজরদারি রাখতে সেনসর (সেনসর বেসড এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম) বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই সময়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এতদিন পর্যন্ত নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার উপর ফেলে রেখে কাজ করা হতো। পুরসভা নির্দেশ অনুয়ায়ী তা আর করা যাবে না। নির্মাণ সামগ্রী ভাল করে ঢেকে রাখতে হবে। এই নিয়ে এলবিএস এবং আর্কিটেক্টদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে খোলা জায়গা যাতে বালি-স্টোনচিপস ফেলে না রাখা হয়। তা হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুরসভা।
কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, নির্মীয়মাণ বাড়ি জিওটেক্সটাইল ফেব্রিক দিয়ে ঢাকতে হবে। এছাড়া দেওয়াল ভাল করে জল দিয়ে ধুতে হবে, যাতে সেখান থেকে ধুলিকণা বাতাসে না মিশতে পারে। নির্মাণের সময় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ভাল করে জল দিয়ে ধুতে হবে। এ ছাড়া আশপাশের এলাকাতেও ভাল করে জল ছড়াতে হবে। নির্মাণ আবর্জনা জমিয়ে রাখা যাবে না। তা পুরসভার নির্ধারিত স্থানে তা ফেলতে হবে। তার জন্যও পুরসভার অনুমতি নিতে হবে।
(পড়ুন। ফিরহাদ-মলয়দের নিয়ে বিস্ফোরক তাপস পালের পরিবার, অভিযোগ খোদ মমতাকে নিয়েও)
কী বলছেন প্রমোটাররা
পুরসভার এই নির্দেশের পর প্রমোটাররা জানাচ্ছেন, এর ফলে নির্মাণের খরচ বাড়বে। তাদের যুক্তি, শহরে খালি জায়গার অভাব বলে রাস্তার ধারেই বালি-স্টোনচিপস রাখতে হয়। তার জন্য পুরসভা টাকাও নেয়। তার পর চাপা দেওয়ার ব্যবস্থার করতে খরচ বাড়বে । তাছাড়া পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখলে সেই পলিথিন চুরি হয়ে যেতে পার।
(পড়ুন। বিলাসবহুল হোটেল, হোমস্টে, উত্তরবঙ্গের চা বাগান বদলাচ্ছে ‘ওয়েডিং ডেস্টিনেশন’-এ)
তবে পুর আধিকারিকরা বলেছেন, কলকাতায় দূষণের মাত্রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। দেখা গিয়েছে, গাড়ির ধুলোধোঁয়ার পাশাপাশি নির্মাণ সামগ্রী থেকে দূষণও মাত্রা ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্মাণ কাজের জন্য দূষণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।