Amherst Street PS: ব্রেইন টিউমার ফেটে কলকাতার থানায় মৃত্যু প্রৌঢ়ের, বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অশোকবাবুর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। অশোকবাবু ব্রেইন টিউমারে ভুগছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। তেমনই একটি টিউমার ফেটে বুধবার সন্ধ্যায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয় তাঁর।

আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা

পরিবার আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবি জানালেও বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই হল আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় নিহত প্রৌঢ় অশোক সিংহের দেহের ময়নাতদন্তে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ব্রেইন টিউমার ফেটে মৃত্যু হয়েছে অশোকবাবুর। তাঁর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। যদিও এই ময়নাতদন্ত মানতে নারাজ পরিবার। তাঁরা ফের দেহের ময়নাতদন্ত করানোর দাবি করেছেন।

বুধবার বিকেলে ময়নাতদন্তে হাজির থাকতে অশোকবাবুর পরিবারকে দুপুরে কলকাতা পুলিশের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় সেই নোটিশ দেওয়ালে সেঁটে দিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। বিকেলে শুরু হয়। ময়নাতদন্ত। তার আগে গঠন করা হয় চিকিৎসকদের বোর্ড। করা হয় ভিডিয়োগ্রাফি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অশোকবাবুর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। অশোকবাবু ব্রেইন টিউমারে ভুগছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। তেমনই একটি টিউমার ফেটে বুধবার সন্ধ্যায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয় তাঁর। যার ফলে মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের। এদিন ময়নাতদন্তের সময় টিউমারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহ করা হয় মৃতের ত্বকের নমুনা।

অশোকবাবুর মৃত্যুতে পুলিশি নির্যাতনের কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। থানা থেকে যে বিজেপি নেতাকে তিনি ফোন করেছিলেন, তিনিও জানিয়েছেন যে পুলিশি অত্যাচারের কোনও কথা বলেননি তিনি। সেই বিজেপি নেতাকে থানার আধিকারিকরা চেনেন। অশোকবাবু অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকেই ফোন করে থানা থেকে সেই খবর জানানো হয়।

যদিও ময়নাতদন্তের এই রিপোর্ট মানতে নারাজ মৃতের পরিবার। তাঁদের দাবি, সরকারের চাপের মুখে কাজ করতে হয় রাজ্য সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের। তাদের পক্ষে সঠিক তথ্য সামনে আনা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত চান তাঁরা।