নিম্নমানের খাবারদাবার পাশাপাশি খারাপ আচরণ এবং নিয়মিত আইসিডিএস সেন্টারে না আসার অভিযোগ উঠেছিল এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে বদলির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জনস্বার্থের কথা ভেবে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে বদলির নির্দেশে সায় দেয় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে পচা ও ছোট ডিম! অভিযোগে কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ
মামলার রায় দিতে গিয়ে পর্যবেক্ষণে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, যদি কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ঠিকমতো কাজ না করে এবং তাঁর কাজ নিয়ে যদি সব মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে তাহলে জনস্বার্থের কথা ভেবে প্রশাসন একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে বদলির নির্দেশ দিতে পারে। তা আইনে উল্লেখ থাকুক বা না থাকুক। এই অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুরের পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী কেন্দ্রে আসেন না। দুর্ব্যবহার করার পাশাপাশি নিম্নমানের খাবার দিয়ে থাকেন। এই অভিযোগ ওঠার পরেই স্থানীয়রা গণস্বাক্ষর করে ব্লকে অভিযোগ জানান। বিডিওর তরফে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এরপরে শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতর ২০২১ সালে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে বদলির নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের হয়েছিলেন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ বদলির নির্দেশ বহাল রাখে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চও একই কথা জানায়।
উল্লেখ্য, একই ধরনের অভিযোগ ওঠার পর মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুরের এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে বদলি করা হয়।হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীকে বদলি করা হয়। ব্লক সুসংহত শিশু বিকাশ অধিকর্তার দফতর থেকে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের পচা ডিম দেওয়া, অনিয়মিত খাবার দেওয়ার অভিযোগে ওঠে। এই অভিযোগে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাঁধুনিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তারপরেই তাঁকে বদলি করা হয়। যদিও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে খাবারের গুণগত মান নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে।