বিরোধীরা যতই সমালোচনা করে বলুন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দিলে মামলা করুক, রাজ্য সরকার কিন্তু তাদের অবস্থান স্পট করে দিয়েছে। এবার করোনা আবহে আরও একধাপ এগিয়ে ছক্কা হাঁকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
ঠিক হয়েছে, ১০ বছরের পুরনো পুজো শুধু নয়, আর্থিক অনটনে থাকা কিছু নতুন পুজো কমিটিকেও অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। একাধিক পুজো অনলাইনে উদ্বোধন করতে গিয়ে পুলিশকে এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেপ্টেম্বর মাসেই রাজ্যের প্রায় ৩৭ হাজার পুজো কমিটির প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি রাজ্য–রাজনীতিতে। জনগণের টাকায় এভাবে অনুদান দেওয়া ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে। এসবের মধ্যে ফের নতুন অনুদানের ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ১০ বছর হলে ক্লাব টাকা পায়। ১০ বছরের কম বয়সের গরীব ক্লাব হলে তাদেরও কিছু কিছু সাহায্য করবেন। মেয়েদের পুজোগুলিকেও সাহায্য করবেন। অন্য রাজ্যগুলিতে পুজোর অনুমতি না মিললেও এই রাজ্যে পুজোয় ছাড় দিয়েছে সরকার।
সরকারের আন্তরিকতা ব্যক্ত করে মমতা বলেন, ‘অসমের ভাইবোনেরা কুমারগ্রামের পুজো দেখতে এলে সাহায্য করবেন। রাজবংশী, আদিবাসী, তফসিলি, সংখ্যালঘু, চা–বাগানের শ্রমিক, কামতাপুরি, বাংলাদেশের ভাই–বোন, কুরুক–কুর্মালি–উর্দু–বাংলা–হিন্দিভাষী সবাইকে নিয়ে সুন্দর করে পুজোটা করব।’