বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > দিল্লিতে ইডির দফতরে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক কেষ্টর রাঁখুনি বিজয় রজক

দিল্লিতে ইডির দফতরে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক কেষ্টর রাঁখুনি বিজয় রজক

বিজয় রজক। 

ইডির দাবি, পেশায় শিক্ষাকর্মী বিজয় রজক কয়েক কোটি টাকার মালিক। অনুব্রতর গরুপাচারের টাকা বহুবার বিজয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দিয়ে পাচার হয়েছে। তাতেই ফুলে ফেঁপে উঠেছেন তিনি।

গরুপাচারকাণ্ডে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির ‘রাঁধুনি’ বিজয় রজক। গ্রেফতারির আগে পর্যন্ত অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি। গত ৭ মার্চ আসানসোল থেকে দিল্লির পথে শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানে পুলিশি ঘেরাটোপে থাকা অনুব্রতর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পেশায় লাভপুর কলেজের শিক্ষাকর্মী বিজয়ের সম্পত্তির পরিমাণ না কি কয়েক কোটি। শুক্রবার তাঁকে আয়কর ও ব্যাঙ্ক লেনদেনের নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। সেই মতো তিনি এদিন সকালে পৌঁছে যান দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে।

কে বিজয় রজক?

বোলপুরের কালিকাপুরে অনুব্রতর বাড়ির কাছেই বাড়ি বিজয় রজকের। অনুব্রতর বিশ্বস্ত কর্মী তিনি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বীরভূমে যখন অনুব্রতর রমরমা শুরু হয়, বাড়িতে ভিড় বাড়তে থাকে তখন বিজয়কে রাঁধুনির দায়িত্ব দেন অনুব্রত। এর পর লাভপুর কলেজে শিক্ষাকর্মীর চাকরি পান তিনি। তৃণমূলের তরফে নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে জোর দিতে বলা হলে অনুব্রত সেই দায়িত্ব বিজয়কে দেন। এর পর অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠেন তিনি। সূত্রের খবর, ভালো ছবি তোলার জন্য বিজয়কে দামি ক্যামেরা কিনে দেন অনুব্রত। সেই ক্যামেরা নিয়ে জেলা ও জেলার আসেপাশে অনুব্রতর সঙ্গে সমস্ত সভায় হাজির থাকতেন বিজয় রজক।

কী অভিযোগ বিজয় রজকের বিরুদ্ধে?

ইডির দাবি, পেশায় শিক্ষাকর্মী বিজয় রজক কয়েক কোটি টাকার মালিক। অনুব্রতর গরুপাচারের টাকা বহুবার বিজয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দিয়ে পাচার হয়েছে। তাতেই ফুলে ফেঁপে উঠেছেন তিনি। বিজয় রজককে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুব্রতর পাচার সিন্ডিকেট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

কী ভাবে নজরে পড়লেন?

গত ৭ মার্চ অনুব্রতকে আসানসোল থেকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। আদালতের নির্দেশ অনুসারে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগে কলকাতার কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে অনুব্রতকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয় আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুব্রতকে সুস্থ বলে ঘোষণা করা হলে তবেই ইডি দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আর ততক্ষণ অনুব্রতর নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল রাজ্য পুলিশের ওপরে। আসানসোল থেকে কলকাতার পথে শক্তিগড়ে জলখাবারের জন্য দাঁড়ায় অনুব্রতর কনভয়। তখনই শক্তিগড়ের একটি ল্যাংচার দোকানে অনুব্রতর খাবার টেবিলে তাঁর সঙ্গে দেখা যায় ৩ বহিরাগতকে। এদের মধ্যে ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা কৃপাময় ঘোষ, অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের গাড়ির চালক তুফান মিদ্দা ও তাঁর রাঁধুনি বিজয় রজককে। এর পরই বিজয় রজকসহ ৩ জনকেই দিল্লিতে তলব করে ইডি। সঙ্গে তলব করেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে।

 

 

বন্ধ করুন