এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট তাঁর ফ্ল্যা ৩০ ঘণ্টা ধরে কী করছিলেন, কোনও ধারণাই নাকি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ছিল না। বুধবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ আদালতে পেশ করা হয় অর্পিতাকে। ইডির আইনজীবী অর্পিতাকে ফের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করেন। এই আবহে শুনানি চলাকালীন বিচারক বিদ্যুৎ কুমার রায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান তাঁদের কিছু বলার আছে কিনা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো কেঁদে ফেলেন বিচারকের সামনে। এদিকে অর্পিতা দাবি করেন, তাঁর বাড়িতে ইডি কী করছিল তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না সেই সম্পর্কে।
অর্পিতা এদিন আদালতে বলেন, ‘আমার বাড়িতে ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ছিল ইডি। আমি নিজে কিছু জানতে পারিনি। ইডি আধিকারিকেরা যে আমার বাড়িতে আছেন, সে ব্যাপারে আমার কোনও ধারণাই ছিল না। আমি বাথরুমে ছিলাম প্রায় চার ঘণ্টা। তার পর বেডরুমে চলে গিয়েছিলাম। কী ভাবে যে কী হয়ে গেল, আমি কিছুই জানতে পারিনি। আমি সাধারণ পরিবারের মেয়ে। আমার মতো সাধারণ মানুষের বাড়িতেও যে ইডি এ ভাবে হানা দিতে পারে, এই ধারণা আমার ছিল না।’
এদিকে বিচারক বুধবার অর্পিতাকে পালটা প্রশ্ন করেন, ‘আপনি বাড়ির মালিক তো? টাকার ব্যাপারে কিছু জানা আছে আপনার?’ জবাবে অর্পিতা বলেন, ‘আমার এই বিষয়ে কোনও ধারণা নেই।’ বিচারক এরপর বলেন, ‘বাড়ি তো আপনার। আইনগত ভাবে আপনার জানা উচিত টাকার বিষয়ে।’ জবাবে হেয়ালির মতো করে অর্পিতা বলেন, ‘এটাই আমার প্রশ্ন।’ উল্লেখ্য, পৃথক দুই অভিযানে অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তবে অর্পিতা প্রথম থেকেই জানিয়ে এসেছেন যে এই টাকা তাঁর না।