যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের সরঞ্জাম চুরির অভিযোগ। কয়েকদিন আগেই বিষয়টি নজরে আসে। মূলত মাটি পরীক্ষা সংক্রান্ত ল্যাবরেটরি থেকে চুরি যায় সরঞ্জাম। এরপরই ১৪ই জুলাই এব্যাপারে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও কড়াকড়ি করা হয়। এদিকে শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীরা দেখেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দরজার তালা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে।
এরপরই বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালান নিরাপত্তারক্ষীরা। তখনই দেখা যায় বিল্ডিংয়ের একটি ঘরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সুখদেব নস্কর রয়েছে।এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে যাদবপুর থানায় নিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে এমন সর্ষের মধ্যেই ভূত থাকার ঘটনাকে ঘিরে নানা চর্চা শুরু হয়েছে।
তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার কাছ থেকে ২টি ব্যাগ, লোহার রড, হেলমেট পুলিশ উদ্ধার করেছে। তার দাবি ব্যাঙ্কের লোন দরকার। তাই এসেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি সিভিল বিভাগের একটি ল্যাব তালা ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। একটি ল্যাবে বাক্স থাকলেও তাতে যন্ত্র ছিল না। তবে ওই ব্যক্তি আগেও চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।