তৃণমূলের মধ্যে গৃহযুদ্ধ বেধে গিয়েছে। গরু ও কয়লা পাচারের যে কাটমানি আসে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে এভাবে বাড়ছে আলু–পেঁয়াজের দাম। রবিবার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা চলাকালীন এভাবেই রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূলের মধ্যে গৃহযুদ্ধ বেধে গিয়েছি। এতদিন ডিজাস্টার চলছিল আর এখন গৃহযুদ্ধ। একই পার্টির পাঁচ নেতা পাঁচ জায়গায় মিটিং, মিছিল করছেন। যতদিন না এই পার্টিটা ভেঙে যায় ততদিন চলবে এই গৃহযুদ্ধ। আর আমরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
রাজ্যে বাড়তে থাকা আলুর দাম নিয়ে এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘দক্ষিণবঙ্গ ঘুরে এসে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম যে সাধারণ মানুষ আলুর দাম নিয়ে খুব চিন্তিত। পরে যদি আলু না পাওয়া যায় তা নিয়ে রাজ্যবাসীর মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শীতের সবজির দাম এখনও কমেনি। আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরি করে নিয়েছে।’
কিন্তু কীভাবে এতটা বাড়ল আলুর দাম? দিলীপ ঘোষের মতে, ‘আসলে গরু ও কয়লার যে সিন্ডিকেট চলে সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কাটমানি আসছে না। গরুর টাকা, কয়লার টাকা পুষিয়ে দেওয়ার জন্য আলুর দাম বাড়াতে হয়েছে। যাতে টাকার প্রবাহ বজায় থাকে।’ রাজ্য বিজেপি সভাপতির দাবি, ‘সাধারণ মানুষকে লুঠ করে যারা ভোটের ফান্ড বানাচ্ছেন, নিজের পকেট ভরছেন তাঁদের মুখোশ খুলে পড়বেই। ভোট যত এগোবে তত মানুষের ওপর অত্যাচার বাড়বে। ভোটের ফান্ডের জন্যই এভাবে আলু–পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে।’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘২ টাকা কিলো দরে বিক্রি করা পেঁয়াজ আজ ৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। বহু কৃষক আত্মহত্যাও করেছেন।’