সম্পাদকীয়র শিরোনাম, ‘মিস্টার জগদীপ ধনখড়।’ তৃণমূলের দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলায় একেবারে সরাসরি নিশানা রাজ্য়পালকে। কোনও রাখঢাক গুড়গুড় নয়, একেবারে চাঁচাছোলা আক্রমণ। লেখা হয়েছে, ‘রাজ্য়পালের সাংবিধানিক পদটা মোটামুটি মস্করার জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন রাজস্থানের এই ব্যক্তি। বিজেপির সফল এজেন্ট হিসাবে আগামীদিনে তিনি যদি ভারতরত্ন পুরস্কার পান তাহলে অবাক হওয়ার কথা নয়। তার কারণ জনগণের বিপুল ভোটে জিতে আসা একটি সরকারকে দিনের পর দিন মনোনীত এক ব্য়ক্তি বিরক্ত করে চলেছেন।’
এখানেই শেষ নয়, লেখা হয়েছে, ‘এই ব্য়ক্তি হলেন তিনি, যাঁর চাকরি ও রিটায়ারমেন্ট পুরোটাই দিল্লির গেরুয়া নেতাদের ইচ্ছা ও অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল। হঠাৎ এক রাতে যদি মনে হয় এই ভদ্রলোককে দিয়ে 'উদ্দেশ্য়সাধন' হচ্ছে না, তাহলে বদল ভালো। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজভবনের এলাহি প্রাসাদ থেকে এঁদের ফিরে যেতে হয় নিজেদের তিন কামরার ফ্ল্যাটে বা পৈতৃক বাড়িতে।’
লেখা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের পদলেহন করলে যদি বিলাসব্য়সন অব্য়াহত থাকে তাহলে ক্ষতি কি? এই পদে যাঁরাই বসেন বেশিরভাগই জানেন এই পদ তাঁদের প্রাপ্য ছিল না। একটু আধটু তাই গোমেস্তাগিরি করলে অসুবিধে কী? এরাজ্যের জগদীপ ধনখড় সেটাই করে চলেছেন।’ এভাবেই ছত্রে ছত্রে রাজ্যপালকে সরাসরি নিশানা। রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্য়ে নানা ইস্যুতে সংঘাত যখন তুঙ্গে, তখন তাতে যেন ঘি দিল এই সম্পাদকীয়।