ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর গ্রিন লাইন চালু হয়েছে মোটামুটি সপ্তাহখানেক আগে। আর তারপর থেকেই দেখা যাচ্ছে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে টিকিট বিক্রি একেবারে হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতা মেট্রোর একেবারে ব্য়স্ততম স্টেশন হিসাবে গণ্য করা হয় এই এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনকে। আর গ্রিন লাইন চালু হওয়ার পরে সেই স্টেশনের গুরুত্ব একেবারে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। আসলে এই স্টেশনটা একেবারে সন্ধিস্থানে অবস্থিত। মানে নর্থ সাউথ ব্লু লাইন ও ইস্ট-ওয়েস্ট গ্রিন লাইনের মধ্য়ে একেবারে সন্ধিস্থানে রয়েছে এই স্টেশন। এদিকে এই বছরের শেষের মধ্য়েই মোটামুটি শিয়ালদার সঙ্গে এসপ্ল্য়ানেডের যোগসূত্র তৈরি হবে। তারপরই পুরো গ্রিন লাইন চালু হয়ে যাবে।
তবে এই গ্রিন লাইন চালু হওয়ার আগে যত সংখ্য়ক যাত্রী এই রুটে যাতায়াত করতেন আর এই লাইন চালু হওয়ার পরে যত সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করছে তার পরিসংখ্য়ান দেখলেই চোখ কপালে উঠবে। যাত্রী সংখ্য়া একেবারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই লাইনে।
এদিকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে সম্প্রতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মেট্রো জেনারেল ম্যানেজার উদয় কুমার রেড্ডি। এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। মূলত ভিড়় সামাল দেওয়ার জন্য কী কী করা দরকার সেব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, গ্রিন লাইন চালু হওয়ার আগে এসপ্ল্য়ানেডে রোজকার টিকিট বিক্রির সংখ্যা ছিল গড়ে ১৫,০০০। আর এখন সেই টিকিট বিক্রির হার বেড়ে গিয়ে হয়েছে দৈনিক প্রায় ৪৩,০০০। তার মধ্য়ে স্মার্ট কার্ড, টোকেন, কিউআর কোডের মাধ্য়মে টিকিট বিক্রির বিষয়টিও রয়েছে।
আচমকাই এই বিপুল ভিড় বৃদ্ধির জেরে স্বাভাবিকভাবেই এই লাইনে মেট্রোর আয়ও অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গেই মেট্রোর এই বিরাট ভিড় সামাল দেওয়াটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার উদয় কুমার রেড্ডি আগেই জানিয়েছেন, এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। তবে সামগ্রিক ব্যবস্থাটি যথাযথভাবে করার জন্য মাসখানেক সময় লাগবে।
এদিকে প্লাটফর্ম বদল করা, করিডোরের মধ্যে দিয়ে কীভাবে কোন রুটে যাত্রীদের যেতে হবে তার কিছু নির্দেশিকা দেওয়া আছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সেটা অস্থায়ীভাবে রয়েছে। কার্যত উদ্বোধনের দিন কিছুটা তাড়াহুড়ো করেই কিছু স্টিকার দেওয়া হয়েছিল। এদিকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সেকশনে এসপ্ল্য়ানেডের কাজ কিছুটা এখনও বাকি রয়েছে। তবে ধাপে ধাপে বিষয়টি স্বাভাবিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে বর্তমানে ইস্ট-ওয়েস্ট সেকশনে ২০জন এক্স আর্মিকে নিয়োগ করা হয়েছে ভিড় সামলানোর জন্য। আরপিএফরা মেগাফোন ব্যবহার করে, বাঁশি বাজিয়ে ভিড় সামলাচ্ছেন। ঠিক যেন দুর্গাপুজোর ভিড়।