বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। একুশের নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন। এবার তাঁকে পদত্যাগের পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভায় দিতে এসেছিলেন বিশ্বজিৎ। সেখানেই আচমকা তাঁর সামনে পড়ে যান বাগদার বিধায়ক। ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থ ভৌমিকও। তখনই বনগাঁর রাজনীতি নিয়ে বিশ্বজিতের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিশ্বজিৎকে পদত্যাগের পরামর্শ দেন।
মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎকে উপনির্বাচনে আবারও বাগদা আসনে প্রার্থী করে জিতিয়ে আনবেন বলেছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ইস্তফার পরামর্শ দেননি বলেই দাবি করেছেন বিশ্বজিৎ। এই বিষযে তিনি বলেন, ‘বনগাঁর চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে।বিধানসভা অধিবেশনের পর তিনি আমার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। কখনওই তিনি আমাকে পদত্যাগের পরামর্শ দেননি।’
সম্প্রতি বিজেপির এই বিধায়ক দাবি করেছিলেন, তিনি এখনও বিজেপিতেই আছেন। তাই তাঁকে পদত্যাগ করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। তখন তিনি ছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক। একুশের নির্বাচনের আগে বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘরে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বজিৎ।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩১ অগস্ট কলকাতার এক বেসরকারি হোটেলে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে দলে যোগ দেন। তারপরেই বিশ্বজিতের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এখন দেখার শেষমেশ জল কোনদিকে গড়ায়।