নিউ টাউনে আইনজীবী রজত দে খুনে দোষী সাব্যস্ত স্ত্রী অনিন্দিতা পালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল বারাসত আদালত। সোমবার এই মামলায় অনিন্দিতাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। এদিন সাজা ঘোষণা ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় আদালত চত্বরে। অনিন্দিতার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অনেকে। সাজা ঘোষণার পর সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেরে নির্দোষ বলে দাবি করেন অনিন্দিতা।
২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর নিউ টাউনে নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী রজত দে-কে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে রজতকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে কেউ। ওই বছরই ১ ডিসেম্বর রজতকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারির ১০ মাসের মাথায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান তিনি।
রজত দেকে যে হত্যা করা হয়েছে তা প্রমাণে একাধিক তথ্যপ্রমাণ পেশ করে পুলিশ। এর মধ্যে ছিল অনিন্দিতার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। যাতে নানা ভাবে বিবাহ প্রতিষ্ঠানকে হেয় করে মন্তব্য করেছেন তিনি। পুলিশের দাবি ছিল রজতকে মোবাইলের চার্জারের তার গলায় পেঁচিয়ে খুন করেছেন অনিন্দিতা।
সোমবার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আদালতকক্ষে ভেঙে পড়েন অনিন্দিতা। তাঁকে কার্যত জোর করে জেলে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। বুধবার ছিল সাজা ঘোষণা। অপরাধী মহিলা হওয়ায় তাঁর ফাঁসির সাজা হওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল। পুলিশ খুনের কোনও প্রত্যক্ষ তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে না পারায় অনিন্দিতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত।
সাজা ঘোষণার পর রজত দের বাবা বলেন, এই শাস্তি সমাজের সামনে একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কোনও স্ত্রীর মাথায় এমন কোনও পরিকল্পনা থাকলে দুবার ভাববে সে। অনিন্দিতার আইনজীবী জানিয়েছেন, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাবেন তাঁরা।