কখনও জয় বাংলা, কখনও আবার ওরে মন ভরসা রাখিস। আবার ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর অতীতের বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীকে অগ্নিকন্যা বলে সম্বোধন করলেন রিলায়েন্স কর্তা। মঙ্গলবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনের মঞ্চ কার্যত মাতিয়ে দিলেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি।
একদিকে মুকেশ আম্বানি, একদিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। আর মাঝখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এই ছবি দেখে স্বস্তি পেয়েছেন অনেকেই। কিছুদিন আগেও আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি দেখা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু সেই গৌতম আদানিকে এবার দেখা যায়নি অনুষ্ঠান মঞ্চে। সেই জায়গায় মঞ্চে নজর কাড়লেন মুকেশ আম্বানি।
তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে এই রাজ্য়ে আরও ২০ হাজার কোটি বিনিয়োগ করা হবে। তিনি বলেন, আশ্বাস দিচ্ছি বাংলার শ্রীবৃদ্ধিতে চেষ্টা কোনও কসুর করবে না রিলায়েন্স।
অন্য়দিকে কালীঘাট মন্দির সংস্কারের কথা বলতে গিয়ে আম্বানি মন্দিরকে ঘিরে তাঁর আবেগের কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের কাজ করছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। এই মন্দির যেমন দিদি আপনার হৃদয়ের কাছের তেমনি আমার ও নীতার( স্ত্রীর) মনের খুব কাছের। এই মন্দির সংস্কারের সুযোগ দেওয়ার জন্য় আপনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
তখনও তিনি বলেন, সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। আবার কখনও বললেন, নিশিদিন ভরসা রাখিস, ওরে মন হবেই হবে। ঠিক কীসের ভরসা রাখার জন্য় কাকে তিনি বললেন তা পরিষ্কার নয়। তবে অনেকেই অবশ্য দুয়ে দুয়ে চার করার চেষ্টা করছেন।
এখানেই থেমে থাকেননি মুকেশ আম্বানি। দেশের শীর্ষ স্থানে থাকা শিল্পপতি কার্যত প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। মুকেশ আম্বানিকে গ্রেট ম্য়ান বলে আখ্য়া দিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। তবে আশাহত করেননি মুকেশ আম্বানি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলা কয়েক বছরের মধ্য়েই ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতি সম্পন্ন রাজ্য় বলে আখ্য়া দেওয়া হবে। এমনকী তাওয়ান, কোরিয়া সিঙ্গাপুরকেও টেক্কা দিতে পারে বাংলা।
এই বাংলায় রিলায়েন্সের অগ্রগতি নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, এই রাজ্যে ৯৮.৮ শতাংশ মানুষকে তাঁরা কভারেজের আওতায় আনতে পেরেছেন। ক্য়ালকাটা টেলিকম সার্কেলে এই পরিমাণ প্রায় ১০০ শতাংশ। অন্যান্য ক্ষেত্রে রিলায়েন্স এই বাংলায় কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিনিয়োগকে সম্প্রসারিত করছে তার বিবরণ তুলে ধরা হয়।