গ্রেফতার হয়েছেন অ্যালকেমিস্টের কর্ণধার কেডি সিং। তিনি প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। এই কেডি সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রথম তদন্তের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। যিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী–প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও কেডি’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’ সারদা কাণ্ডের পর থেকেই এই সিপিআইএম নেতা কেডি সিংয়ের সংস্থা অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। এবার তিনি কেডি সিংয়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির যোগের অভিযোগও তুললেন। সেলিমের কটাক্ষ, ‘ভাইপো তো কেডি সিংয়ের জামাই।’ এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, ‘২০১১ সালে তৃণমূল সরকার আসার পর থানায় থানায় নির্দেশ দেওয়া হয়, চিটফান্ডের বিরুদ্ধে এফআইআর নেওয়া যাবে না। আজ ইডি বলছে যে কেডি সিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর নেই। অ্যালকেমিস্ট নিয়ে ২০১৩ সালে ঝাড়খণ্ড আদালতের নির্দেশে এফআইআর হয়। ২০১৫ সালে অরুণ জেটলিকে চিঠি লিখি। তিনি আমায় জবাব দেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়। অথচ কিছুই নড়ছে না। সেবি, ইডি, সিবিআই দায় ঠেলাঠেলি করেছে। আমাকে তদন্তকারী সংস্থা জানায়, হাইপ্রোফাইল কেসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে নির্দেশ না আসলে তদন্ত সম্ভব নয়। ২০১৬ সালে আমার চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। মুখ্যমন্ত্রী–প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাতের পর বারবার তদন্তকারী অফিসারদের বদলি করা হয়েছে।’
সিপিআইএম নেতা এমন অভিযোগ করলেও আগেই তা খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। কেডি সিংয়ের গ্রেফতারির পর তিনি বলেছিলেন, ‘ও এখন দলের কেউ নয়। দলের সাংসদও নয়। দলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।’ অবশ্য কেডি সিং তাঁকে আর্থিক প্রস্তাব দিয়েছেন বলে দাবি করেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘কেডি সিং বলেছিল, আপনি একটা করে চিঠি লেখেন আর টাকার প্যাকেট পৌঁছতে হয়। নির্বাচনে আপনারও তো খরচ হয়। তৃণমূল কংগ্রেসকে তো দিয়েছি।’