বিধাননগর স্টেশন। দিনের ব্য়স্ততম স্টেশনে একেবারে তিল ধারনের জায়গা থাকে না। সেই স্টেশনের পরিষেবা ঘিরে হাজারো অভিযোগ। যাত্রীদের নানান সমস্য়া। কিন্তু বলবেন কাকে? এবার একেবারে রেলকর্তারা এসে শুনলেন যাত্রীদের সমস্যার কথা। সেই সমস্যা তাঁরা লিখেও নিলেন খাতায়। ঠিক কী ধরনের ক্ষেত্রে পরিষেবার উন্নতি করা যায় সেটাও জানিয়ে দিলেন যাত্রীরা।
নানান পেশার মানুষের কাছে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হল এই বিধাননগর স্টেশন। বহু মানুষ আসছেন যাচ্ছেন এই স্টেশন দিয়েই। এদিকে একই প্লাটফর্মে একাধিক লোকাল ট্রেন ঢুকে পড়ে বলে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে। তবে এবার যাত্রীদের সমস্যা শুনলেন রেলের কর্মী আধিকারিকরা। বেশ ধৈর্য্য ধরেই তাঁদের বক্তব্য শোনা হয়েছে।
ঠিক কোন জায়গায় সাধারণ যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে সেটা শোনেন রেলকর্মীরা। মূলত পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র সহ তাঁর দফতরের টিম এদিন বিধানননগরে এসে যাত্রীদের কাছ থেকে তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন।
যাত্রীদের একাংশের দাবি, ট্রেন যেন সময়মতো চলে সেটা দেখা দরকার। ঠিক ঠাক প্লাটফর্ম ট্রেন আসুক এটাও চাইছেন যাত্রীরা। কারণ আচমকা অন্য প্লাটফর্মে ট্রেন এলে সমস্য়া দেখা দেয়। নাকাল হতে হয় যাত্রীদের। বার বার ঘোষণা করা হলেও প্লাটফর্ম বদলাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যান সাধারণ যাত্রীরা। এনিয়েও যাত্রীরা এদিন নালিশ করেন রেলকর্তৃপক্ষের কাছে। কয়েকজন আবার প্লাটফর্মে দোকান থাকা নিয়ে অভিযোগ করেন। ট্রেনের ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তির কথাও তাঁরা জানিয়েছেন।
পূর্ব রেলের মুখ্য় জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, যে পরিষেবাগুলি বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে সেগুলি যাতে আরও ভালো করে পাওয়া যায় সেটা দেখা হবে। তিনি জানিয়েছেন, নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের কী সমস্যা হচ্ছে সেটা দেখা হচ্ছে। কোন পরিষেবা তাঁরা পাচ্ছে ন না। তাঁরা কী চাইছেন সবটা দেখা হচ্ছে।
বিধাননগর স্টেশন। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী এই স্টেশন ব্যবহার করেন। মাঝেমধ্যে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। এবার সেই স্টেশনের পরিষেবা নিয়ে জানতে চাইল রেল কর্তৃপক্ষ।