ক্যাগের রিপোর্ট নিয়ে গত বছরই একটি মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি আগামী ১৯ তারিখের পর মামলার শুনানির আশ্বাস দিয়েছে।
ক্যাগ রিপোর্টে ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা গরমিলের অভিযোগ রয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। সেই রিপোর্টকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছে বিরোধীরা। মঙ্গলবার এ নিয়ে বিধানসভাতেও আলোচনার দাবি তোলে বিরোধীরা। সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন স্পিকার। তারে জেরে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। পরে ওয়াকআউট করে বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
ক্যাগে রিপোর্টে বলা হয়েছে ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা খরচের কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার। নবান্নের দাবি সব কাজের ইউটিলাইজেশন জমা দিয়েছে তারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন।
পড়ুন। ক্যাগের রিপোর্ট নিয়ে হইচই বিধানসভায়, আলোচনার দাবি বিজেপির, খারিজ স্পিকারের
গত বছর পুর ও নগরোন্নয়ন, শিক্ষা এবং পঞ্চায়েত দফতরের হিসাবের গরমিলের অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্ট। জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত ১০০ দিনের কাজে টাকার দাবিতে কলকাতার রেড রোডে ধর্নায় বসার আগে ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি দিল্লি থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে, ক্যাগের রির্পোট তুলে ধরে বলেন ২.২৯ কোটি টাকা গরিমলের অভিযোগ করেছে রিপোর্টে। এর পর এই রিপোর্টকে কেন্দ্র করে রাজ্য বিতর্ক শুরু হয় ।
পডুন। ১০০ দিনের কাজে কারচুপির তদন্তে ইডি, অভিযান WBCS অফিসার থেকে ব্যবসায়ীর বাড়িতে
এই অভিযোগের বিরুদ্ধে সরব হয় শাসকদলও। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ লক্ষ মানুষকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেবেন। তাতেই ভয় পেয়ে বিজেপি বদলার রাজনীতি শুরু করেছে।'
লোকসভা নির্বাচনের আগে যখন ধর্নায় বসে তৃণমূল দাবি করছে নারেগার বকেয়া টাকার। তার পাল্টা হিসাবে ক্যাগের হাতিয়ার করেছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়েও হাইকোর্টে দুটি মামলা চলছে। জব কার্ডের দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অন্য দিকে বকেয়া টাকা নিয়ে মামলা করেছে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজুর সমিতি।