এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একদিকে মুকুল রায় নয়াদিল্লিতে। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংযোগ যাত্রায় গ্রামের মানুষের বাড়িতে যাবেন। আগামী দু’মাসের জন্য এমন পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তাঁবু খাটিয়ে থাকবেন গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। এমনকী রাহুল গান্ধীর সঙ্গে এক আসনে বসিয়েছেন তিনি অভিষেককে।
এদিকে আজ, বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর সেখানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায় প্রসঙ্গে বলেন, ‘নেবো কিনা জানি না। কে নেবে তাও জানি না। ওর মধ্যে আর কিছু বাকি নেই। নিয়ে কার লাভ তাও ঠিক নেই। পার্থ বলে দল আমার সঙ্গে আছে। আছে কি আদৌ? মুকুল বলছে আমি ওর সঙ্গে আছি। আছে কি? মুকুল বলেছে বিজেপিতে ছিলাম, আছি, থাকব। উনি বলছেন সিপিএমকে তাড়াতে হবে। ওনার মাথা ঠিক আছে কি? এখানে কি সিপিএম আছে? কার হয়ে বলছেন? সেটা আগে ঠিক হোক। উনি অসুস্থ। নিজে বলছেন, আমি ঠিক আছি। ছেলে বলছে বাবা পাগল। আগে বাপ ছেলে ঠিক করুক কে কি? তারপর পাবলিক ঠিক করবে।’
অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রামে সংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ করেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ। তাঁর কথায়, ‘এর রেজাল্ট কি? দুয়ারে সরকারে কর্মচারী নেই। লক্ষীর ভাণ্ডারে আর দেওয়ার মতো টাকা নেই। দিদির দূত সব ভগ্ন দূত হয়ে গিয়েছে। লোকে গাছে বেঁধে আটকে রাখছে গ্রামে গ্রামে। এত দুর্নীতি করলে মানুষ তো বটেই, ভগবানও সঙ্গে থাকে না। তাই আজ কেউ নেই। বিচার ব্যবস্থাও পাশে নেই। তাই চেষ্টা করছে মানুষকে ভুলিয়ে রাখতে। উনি জীবনে প্রথমবার গ্রামে যাবেন। রাহুল যেমন গ্রামে গিয়ে এবারই প্রথম সূর্যোদয় দেখল। গ্রামের মানুষ কিরকম হয় উনি সেদিন পার্লামেন্টে বলছিলেন। ৫০ বছর বয়সে উনি ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া করলেন। এখানেও তাই। যুবরাজ ৪০ বছর বয়সে সবাইকে দর্শন দিতে যাবেন। অথচ উনি গ্রামের থেকেই প্রতিনিধি। এবার গ্রাম দেখতে যাবেন।’
আর কী বলেছেন দিলীপ? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় সংগঠন মজবুত করতে বামনঘাটায় চা–চক্রে এলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ২০২৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই প্রসঙ্গে মেদিনীপুরের সাংসদের প্রতিক্রিয়া, ‘কার শাপে যেন গরু মরে না? কি একটা প্রবাদ আছে? ২০১৯ সালেও বলেছিলেন বিজেপি ফুস। ওরা নাকি ৪২–এ ৪২ পাবে। পরিণাম কি হল? ওনার এক ডজন সিট কমে গেল। যাদের উনি কলকাতায় সেবার সভা করতে নিয়ে এসেছিলেন তাদের অনেকেই পার্লামেন্ট পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। সবাই জেনে গিয়েছে ব্যাপারটা। তাই মমতাকে আর কেউ ডাকে না। কারণ ওনার দৃষ্টি পড়লেই সর্বনাশ।’