একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রার্থী থেকে নেতা–কর্মীদের মাঠে নেমে প্রচার করতে দেখা যেত। কিন্তু নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর এখন দলের সঙ্গেই নেতা–নেত্রীদের যোগাযোগ নামমাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ সিপিআইএমের কর্মীদের দেখা যাচ্ছে কোভিড–১৯ পরিস্থিতিতে কাজ করে যাচ্ছে। রেড ভলেন্টিয়ার্স নাম দিয়ে তাঁরা রাস্তায় নেমে পড়েছেন। অথচ তাঁরা এই নির্বাচনে একটিও আসন পায়নি। সেখানে ৭৭টি আসন পেয়ে আজ বিজেপিকে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না। অথচ তাঁদের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, তাঁরা দায়িত্বশীল বিরোধীর ভূমিকা পালন করবেন।
এবার ইয়াস রাজ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে। সেখানে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা, কর্মীদের নির্দেশ দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে নিজেদেরই উদ্যোগ নিয়ে রাস্তায় নামা উচিত সেখানে রাজ্য সভাপতিকে অনুরোধ করতে হচ্ছে। যা এককথায় নজিরবিহীন। তাহলে কী শুধুই ভোটের জন্য রাজনীতি? উঠছে প্রশ্ন। তিনি জানান, দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, তাই বেশি করে ওই এলাকার দলের সব স্তরের নেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। এখন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমফানের সময়ে আমাদের ত্রাণ বিলিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এবার যেন তেমন পরিস্থিতি তৈরি না করা হয়।’
উল্লেখ্য, আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, ইয়াস আছড়ে পড়লে গোটা রাজ্যেই প্রভাব পড়তে পারে। দুই ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরের পাশাপাশি কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতেই ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। দিলীপ ঘোষ চাইছেন, রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বিজেপি নেতা, কর্মীরাও যেন ত্রাণকার্যে অংশ নেন। সেই নির্দেশও পাঠিয়েছেন তিনি। রবিবার তিনি বলেন, ‘কার্যকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য জেলায় জেলায় আমাদের ত্রাণ শিবির চলছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের পাশেও সবাইকে থাকতে বলা হয়েছে।’
তবে এই কাজ করতে গিয়ে ‘রাজনৈতিক বাধা’ আসতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন দিলীপ ঘোষ। এই বিষয়ে দিলীপ বলেন, ‘আমি চাই রাজ্য প্রশাসন যেন করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক রং না দেখে। সকলে যেন সমান পরিষেবা পায় এবং সকলে যেন সেবার কাজ করতে পারেন।’