বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গের ৭৫ লক্ষ বেকারকে চাকরি, ‘‌প্রতিশ্রুতি কার্ড’ আনল বিজেপি

ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গের ৭৫ লক্ষ বেকারকে চাকরি, ‘‌প্রতিশ্রুতি কার্ড’ আনল বিজেপি

প্রতীকী ছবি

সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‌কী কারণে মোটরসাইকেল দেবেন?‌ শুধু হার্মাদ বাহিনী বাড়ানোর জন্য দেবেন নাকি খুন করে পালাতে সুবিধা হবে বলে মোটরসাইকেল দেবেন?‌’‌ তাঁর দাবি, আমরা চাইছি প্রতিটি ছেলেমেয়ে ল্যাপটপ পাক, স্কলারশিপ পাক।

‌সম্প্রতি ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু তাতে বেকার যুবক–যুবতীদের কর্মসংস্থান নিয়ে কোনও তথ্য, পরিসংখ্যান দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বিজেপি–র। আর রাজ্যের এই বেকারত্ব সমস্যাকে হাতিয়ার করে এবার রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়ল গেরুয়া শিবির। রবিবার হেস্টিংসে বিজেপি–র দফতরে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দাবি করেন, আগামী ২ মাসে রাজ্যের ৭৫ লক্ষ যুবক–যুবতীর কাছে পৌঁছে যাবে বিজেপি–র যুব মোর্চা। রাজ্যে ক্ষমতায় এলে তাঁদের কর্মসংস্থান করবে বিজেপি। তাই আগাম চাকরিপ্রার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ‘‌চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড’।

তা হলে কি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৭৫ লক্ষ বেকার যুবক–যুবতীর কর্মসংস্থান হবে?‌ উত্তরে এদিন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেন, ‘‌আমরা মানুষকে অবহিত করার জন্যই এই প্রকল্পের সূচনা করছি। বিজেপি কখনওই বলতে পারে না যে আমরা ৭৫ লক্ষ লোককে চাকরি দেব। কিন্তু আমরা সর্বদা বেকার যুবক–যুবতীদের পাশে থাকব, সঙ্গে থাকব।’‌

যদিও চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে অন্য দাবি করেছেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা বিষ্ণপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ‘‌চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড’‌ হাতে নিয়ে তিনি এদিন এ ব্যাপারে বলেন, ‘‌আমাদের লক্ষ্য, আর নয় অন্যায়। আর নয় বেকারত্ব। আমরা ৭৫ লক্ষ যুবক–যুবতীর কাছে পৌঁছে যাব ‘‌চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড’‌ নিয়ে। আমাদের প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় আসার পর আগামী ৫ বছর পশ্চিমবঙ্গের ঘরে ঘরে সরকারি বা বেসরকারি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেবে বিজেপি।’‌

সৌমিত্র খাঁ এদিন আরও জানান, ‘‌পশ্চিমবঙ্গের ৭৮ হাজার বুথে বুথে ৭৫ লক্ষ বেকার যুবক–যুবতীর নাম, ঠিকানা সংগ্রহ করবে বিজেপি–র যুব মোর্চা। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে এই ‘‌চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড’। এই কার্ডে চাকরিপ্রার্থীর নাম, বয়স, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা নথিবদ্ধ থাকবে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাস ধরে চলবে এই কর্মসূচি।’‌

কিন্তু এই কর্মসূচির নেপথ্যে আসল কারণ কী?‌ উত্তরে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‌‌মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গে ২ কোটি যুবক–যুবতীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। আর আমরা আমাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে বুঝতে পারব পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের সংখ্যা কত।’‌

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকার আক্রমণ করে মুকুল রায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সে সকল টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী নিয়োগপত্র হাতে পাননি তাঁদের মধ্যে ১৬ হাজার ৫০০ জনকে চাকরি দেবেন। কিন্তু আদালত সেই নিয়োগপত্রই বাতিল করে দিয়েছে।’‌ এ ব্যাপারে মুকুল রায়ের কটাক্ষ, ‘‌এবার মাননীয়া মিথ্যা চাকরির খুড়োর কল বানিয়ে ভোট টানবেন।’‌

এর পাশাপাশি বাংলার ২ লক্ষ বেকার যুবক–যুবতীদের মোটরবাইক কেনার জন্য ঋণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর ঘোষণায় এই ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর কোনও তারিখ জানানো হয়নি। এ ব্যাপারেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে আক্রমণ করে বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‌কী কারণে মোটরসাইকেল দেবেন?‌ শুধু হার্মাদ বাহিনী বাড়ানোর জন্য দেবেন নাকি খুন করে পালাতে সুবিধা হবে বলে মোটরসাইকেল দেবেন?‌’‌ তাঁর দাবি, আমরা চাইছি প্রতিটি ছেলেমেয়ে ল্যাপটপ পাক, স্কলারশিপ পাক।

বন্ধ করুন