ঠিক দু’বছর তিন মাস পরে নতুন করে উদ্বোধন হয়েছে মাঝেরহাট সেতুর। কিন্তু রবিবার, সেতু উদ্বোধনের তিন দিনের মাথায় খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বহু রুটেই গতি ফেরেনি। অর্থাৎ যাত্রী না পেয়ে রবিবার থেকে পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাস–মালিকরা। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে বেশ নাকাল হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের।
এখানের দু’টি রুট ৩ডি এবং ৩ডি/১। উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া মিল্ক কলোনি থেকে মাঝেরহাট সেতু পেরিয়ে এই দু’টি বাস আগে যেত বেহালার দিকে। ৩ডি রুটের বাসটি যেত শ্যামবাজার, এপিসি রোড, শিয়ালদহ, ধর্মতলা, খিদিরপুর হয়ে। ৩ডি/১ শ্যামবাজার, শিয়ালদহ, ধর্মতলা থেকে বেহালার দিকে যেত রবীন্দ্র সদন এবং ভবানী ভবন হয়ে। কিন্তু মাঝেরহাট সেতু চালু হলেও রবিবার ওই রুটে কোনও বাসই চলেনি।
এদিকে ডিপোয় গিয়ে দেখা গেল, বাসের গায়ে ৩ডি এবং ৩ডি/১ রুট নম্বর লেখা থাকলেও সেগুলি চলছে সামনে ৩বি রুটের নম্বর লাগিয়ে। এখন ৩বি রুটে চলে ৩৪টির মতো বাস। এমনকী বাস–চালক থেকে কন্ডাকটরের বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে একই দাবি ২২২ নম্বর রুটের বাসচালকদেরও। ডানলপ–বনহুগলি থেকে খিদিরপুর হয়ে মাঝেরহাট সেতু ধরে ওই বাস যেত বেহালা চৌরাস্তা। সেতু ভাঙার পরে এই রুটেরও চাকা থমকে গিয়েছিল। সেতু চালু হওয়ার পরে মালিকপক্ষ নতুন করে গাড়ি নামানোর তোড়জোড় করলেও প্রথম দু’দিনের অভিজ্ঞতার পরে পিছু হটেছেন। কারণ যাত্রী হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
এই বিষয়ে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটএর সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, ‘সেতু ভাঙার পরে করোনার জের। ফলে রুটগুলি প্রায় উঠে গেল। মাঝেরহাট সেতু তৈরি হয়ে গেলেও রুটগুলি বাঁচল কি না এখনই বলা যাচ্ছে না।’